নির্মাতা বললেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট ইজ লাইক মাই বেবি’
Published: 2nd, June 2025 GMT
রাতের আকাশে আলোর মালা ঝলমল করছিল, আর শুটিং ক্লাবের সাজসজ্জা যেন শহুরে আড্ডায় লুকিয়ে-থাকা এক টুকরো অনুভূতির আঙিনা। দর্শকসারির সামনে দাঁড়ালেন কাজল আরেফিন অমি-চোখজোড়া ইতোমধ্যেই ভিজে। মঞ্চের নরম আলোয় তিনি যখন মাইক্রোফোনটা হাতে তুলে নিলেন, চারপাশে একটা নিঃশব্দ ঢেউ বয়ে গেল। অমি বলে উঠলেন “ব্যাচেলর পয়েন্ট ইজ লাইক মাই বেবি,”।
এরপরই অমি শুরু করলেন স্মৃতির কুঠুরি থেকে জমানো কষ্ট-সুখের সুতোকাটা, “সে দিনগুলো মনে পড়ে, যখন পকেটে অল্প টাকা, কিন্তু হৃদয়ে ছিল আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। বাজেটের হিসেব দিয়ে কম্প্রোমাইজ করতে পারতাম, কিন্তু করিনি; করেছি বুকের ভরসায়, সততার আলোয়।”
সেই সততায়ই জেগে উঠেছে সিজন ৫। অথচ পথে ছিল অগণিত কাঁটা-অজস্র ফোনকল, প্রতিবাদ, এমনকি সিরিজ বন্ধের চিঠিও। “আমার নামে অভিযোগ যেখানেই গিয়েছে, সেখানেই পেয়েছি দর্শকের নিঃশব্দ সমর্থন,”—বলতে গিয়েই গলা ধরে এলো, নীরব অশ্রু তুষারের মতো গড়িয়ে পড়ল মঞ্চের কাঠে। হলভরা মানুষ নিঃশব্দে তাঁকে ভালোবাসায় জড়িয়ে নিল যেনো
মুহূর্তটিকে আরও উজ্জ্বল করে তুললেন অভিনেতারা। মারজুক রাসেল, চাষী আলম, জিয়াউল হক পলাশ থেকে মনিরা মিঠু- সবাই। কারও কাঁধে হাত, কারও চোখে পেলব শিশির। অমি বুঝিয়ে দিলেন-একটি গল্প শুধু পর্দার নয়, সেটি নির্মাতা, অভিনেতা আর দর্শকের সম্মিলিত আত্মজৈবনিকও।
দীর্ঘ যাত্রায় এই সিরিজ তারুণ্যের হাসি, কষ্ট আর স্বপ্নের ফ্রেমে আটকে রেখেছে যে-অনুভূতি—সেই অনুভূতিরই এক নীরব রাত্রি ছিল এ-সন্ধ্যা। শেষতক মঞ্চ আলোর ভাঁজে ভাঁজে প্রতিফলিত হল একটাই প্রতিজ্ঞা—“সব বাধা পেরিয়ে গল্প বলাই আমাদের দায়। আমরা ফিরব, আরও আলো, আরও ভালোবাসা নিয়ে।”
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম