আগামী জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য খাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য জাতীয় বাজেটে দুই হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

সোমবার প্রস্তাবিত বাজেটে এ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত অর্থ বছরের তুলনায় এবারের বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে।
  
বাজেট উপস্থাপনায় দেখা যায়, সরকার পরিচালনা খাতে দুই হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আর উন্নয়ন খাতে ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রধান যে কাজগুলো বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে সেগুলো হলো- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং এ সংক্রান্ত ডাটাবেইজ ও ডাটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ; জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ; রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন পরিচালনা; জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত ও বিতরণ এবং সেবা দেওয়া।
  
আরও রয়েছে, নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান অনুযায়ী নিষ্পত্তিকরণ; নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন সম্পর্কিত আইনের প্রস্তাবনা প্রস্তুতকরণ এবং বিধিমালা, প্রবিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দলের প্রতীক সংরক্ষণ; এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়, আন্তর্জাতিক সভা-সমিতি, সেমিনার-ওয়ার্কশপের আয়োজন ও অংশগ্রহণ এবং চুক্তি প্রণয়ন। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট নির্বাচন কমিশনের জন্য এক হাজার ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইস ব জ ট ২০২৫ ২৬ র প রস ত বর দ দ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ