বাসে ওঠার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন দক্ষিণি নির্মাতা
Published: 2nd, June 2025 GMT
চলে গেলেন দক্ষিণি নির্মাতা বিক্রম সুগুমারন। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রোববার মুম্বাইয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। ভারতীয় গণমাধ্যম ফিল্মফেয়ার জানিয়েছে, বিক্রম মুম্বাই এসেছিলেন প্রযোজকের সঙ্গে পরের ছবির গল্প নিয়ে আলোচনা করতে। কিন্তু চেন্নাই ফেরার আগে বাসে ওঠার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তার এমন আকস্মিক চলে যাওয়া শোকের ছায়া ফেলেছে দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্রে।
তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম জেলার পরমাকুড়ি থেকে উঠে আসা বিক্রম সুগুমারনের শুরুটা হয়েছিল অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু ভাগ্যের ছকে তিনি পরিচালনার পথে হাঁটেন। নির্মাতা বালু মহেন্দ্রর সহকারী হিসেবে ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কাজ করেন, অংশ নেন ‘জুলি গণপতি’-সহ বেশ কিছু প্রকল্পে। পর্দার সামনে তাঁর প্রথম উপস্থিতি ছিল ভেত্রিমারানের ‘পোলাধবন’-এ। তবে নির্মাতা হিসেবেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন বিক্রম।
২০১৩ সালে তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘মাধা ইয়ানাই কুট্টাম’ মুক্তি পায়। গ্রামীণ তামিলনাড়ুর বর্ণবাদ ও পারিবারিক জটিলতাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই ছবি দর্শক ও সমালোচকদের মন কাড়ে। ছিমছাম উপস্থাপনাতেও কীভাবে গভীর বিষয়বস্তু ফুটিয়ে তোলা যায়, সেটি দেখিয়েছিলেন বিক্রম। পাশাপাশি ভেটরিমারানের ‘আদুকালাম’ ছবির সংলাপ রচনাও করেছেন তিনি, যা পরে ভারতের জাতীয় পুরস্কার পায়।
দীর্ঘ এক দশক বিরতির পর ২০২৩ সালে বিক্রম আবার পরিচালনায় ফেরেন ‘রাবণা কোত্তম’-এর মাধ্যমে। শানতনু ভাগ্যরাজ অভিনীত এই ছবিতে উঠে আসে প্রতিরোধ ও গ্রামীণ রাজনীতির বিষয়। বিক্রমের প্রয়াণে শানতনু সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘বিক্রম সুগুমারন, আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। প্রতিটি মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বড় অল্প বয়সেই চলে গেলেন। আপনাকে মিস করব।’
আরও পড়ুনচলে গেলেন জনপ্রিয় দক্ষিণি নির্মাতা সংগীত শিবান০৮ মে ২০২৪জানা গেছে, বিক্রম তাঁর পরবর্তী ছবি ‘থেরুম পরুম’-এর কাজ শেষ করে ফেলেছিলেন। পাহাড় আর পর্বতারোহণ নিয়ে তৈরি এই ছবিটি তাঁর আগের কাজগুলোর তুলনায় একেবারে ভিন্ন ঘরানার।
বর্তমানে তাঁর মরদেহ চেন্নাই আনা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।
মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।
বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ