বাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ
Published: 3rd, June 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারীর বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় বাস থেকে নামার সময় হেনস্তার শিকার হন ওই শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাস থেকে নামার সময় চালকের সহকারী তাঁকে হেনস্তা করেন। পরে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার এক কর্মকর্তা শুভযাত্রা পরিবহনের সাভার এলাকায় কর্মরত লাইনম্যান মাসুদুর রহমানকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি ক্যাম্পাসে আসেন। রাত নয়টার দিকে শুভযাত্রা পরিবহনের অন্য দুটি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে থামিয়ে চাবি নিয়ে তিনি প্রশাসনের জিম্মায় জমা দেন।
এ বিষয়ে লাইনম্যান মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের একটি বাসের হেলপার (চালকের সহকারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধাক্কা দিয়েছেন— এমন তথ্য আমাকে জানালে আমি ক্যাম্পাসে আসি। যে হেলপার এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁকে শনাক্ত করা পর্যন্ত শুভযাত্রা ব্যানারের অন্য দুটি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে (প্রধান ফটকসংলগ্ন) থামিয়ে চাবি নিয়ে প্রশাসনকে দিয়েছি। মালিকপক্ষ এসে সমাধান হলে বাস দুটি নিয়ে যাওয়া হবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সোমবার বিকেল চারটার দিকে শুভযাত্রা বাস থেকে নামার সময় হেনস্তা করেন চালকের সহকারী। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাসের লাইনম্যান ক্যাম্পাসে এসেছিলেন এবং বাসের মালিকপক্ষের সঙ্গেও ফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা এলে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর বহন র
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে হিন্দুপাড়ায় হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে হিন্দুপাড়ায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর-এ তামিম বলেন, ‘প্রতিবাদের নাম করে, মাইকিং করে আন্দোলনকারী জড়ো করে গঙ্গাচড়া এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৫ থেকে ১৭টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট করা হলো। এরপর আমরা দেখলাম, আক্রমণের পর ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাঁদের দীর্ঘদিনের বসতবাড়ি রেখে নিজেদের এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আর এই ঘটনাগুলো ঘটছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সামনে, যেগুলো আমরা বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। এই ঘটনা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগজনক নয় বরং সব সাধারণ মানুষের জন্য এটা উদ্বেগপূর্ণ।’
শিক্ষার্থী নূর-এ তামিম আরও বলেন, ‘এই ইন্টেরিমের আমলে আমাদের সবার প্রত্যাশা ছিল এমন একটি বাংলাদেশ হবে, যেটা ধর্মীয় সম্প্রীতির ও সামাজিক সম্প্রীতির। কিন্তু এই সরকারের আমলে সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না। আমাদের দেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার নামে রাজনৈতিকভাবে মব সৃষ্টি করে এ রকম ঘটনা যদি ঘটতেই থাকে, তাহলে আমাদের বলতে হয়, এ দেশে দক্ষিণপন্থীদের উত্থান ঘটেছে, যেটা কোনোভাবেই ভালো দিকে যাচ্ছে না।’