কুষ্টিয়ায় ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিআরবি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকেরা। প্রতিষ্ঠানটি প্লাইউড, পার্টিকেল বোর্ডসহ নানা পণ্য উৎপাদন করে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া আন্দোলন আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আরও ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে যুক্ত হন কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একাংশের শ্রমিকও।

শ্রমিকদের দাবির মধ্যে রয়েছে—বিআরবি গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন-ভাতা নির্ধারণ, ওভারটাইম বিল প্রদান, ছুটির ব্যবস্থা, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে স্থায়ী নিয়োগ অন্যতম।

আজ সকালে বিসিক শিল্পনগরীর প্রধান ফটকে জড়ো হন কয়েক হাজার শ্রমিক। তাঁরা ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না। সকাল থেকেই উত্তেজনা দেখা দেয়। শ্রমিকেরা হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং কারখানার কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢুকতে দেননি। কেউ ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধরের অভিযোগও ওঠে।

ঘটনার খবর পেয়ে বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান কারখানায় আসেন। শ্রমিকেরা তাঁর সামনেই স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তিনি ফটকের সামনে একটি চেয়ারে বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানার একটি দল সেখানে যায়। সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকেরা কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। আধা ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁরা সড়ক ছেড়ে কারখানার ভেতরের সড়কে অবস্থান নেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা ২টা) আন্দোলন চলছিল।

শ্রমিক আবদুল করিম বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা থেকে ১০ দফা দাবি আদায়ে আমরা কর্মবিরতি পালন করছিলাম। আমাদের সঙ্গে কিয়াম মেটালের শ্রমিকেরাও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামেন।’

এর আগে গত ৮ মে একই দাবিতে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করেছিলেন। সেদিন এক বৈঠকে মালিকপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। তবে সেদিন কারখানার মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফ ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী মকিবুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, কাঁচামালের সংকটে মাসের অধিকাংশ দিন কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে। অন্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন বাড়লেও এমআরএসের শ্রমিকদের বাড়েনি। এ কারণেই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ