আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশসহ যেসব ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা, জেনে নিন দিন–তারিখ
Published: 3rd, June 2025 GMT
২০২৪–২৫ মৌসুম যেন শেষ হয়েও হলো না শেষ! চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পর ১৫ দিন বিরতি দিয়ে শুরু হবে ক্লাব বিশ্বকাপের ধুন্ধুমার লড়াই। তবে এই বিরতিও আবার বিরতি নয়। মাঝের এই সময়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অপেক্ষা করছে দুর্দান্ত সব ম্যাচ। যেখানে মাঠে দেখা যাবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো দলকে। একই সময়ে অবশ্য বাংলাদেশ ফুটবল দলও খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে, যে ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে দারুণ উন্মাদনা! উল্লেখযোগ্য এসব ম্যাচ কখন–কোথায়, জেনে নেওয়া যাক একনজরে।ইকুয়েডর–ব্রাজিল
বিশ্বকাপ বাছাই
৬ জুন, শুক্রবার, ভোর ৫টা
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও ইকুয়েডর। ম্যাচটি দিয়ে নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে ব্রাজিলের ফুটবল। এই ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে অভিষেক হবে কার্লো আনচেলত্তির। এ ম্যাচে সব ছাপিয়ে তাই চোখ থাকবে আনচেলত্তির ওপরই। এমনকি ম্যাচটিতে জিতলে ইকুয়েডরকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে আসার সুযোগ থাকবে ব্রাজিলের। এখন আনচেলত্তির অভিষেকে জয় দিয়ে ব্রাজিল শুভসূচনা পায় কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ: মেসি-রোনালদো-নেইমার, কে থাকবেন কে থাকবেন না২৩ এপ্রিল ২০২৫ব্রাজিল–প্যারাগুয়েবিশ্বকাপ বাছাই
১১ জুন, বুধবার, সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের হয়ে আনচেলত্তির অভিষেক হলেও সেই ম্যাচ কিন্তু হবে প্রতিপক্ষের মাঠে। ঘরের মাঠে অভিষেকের জন্য আনচেলত্তিকে অপেক্ষা করতে হবে ১১ জুন পর্যন্ত। যেদিন সাও পাওলোর অ্যারেনা করিন্থিয়ান্সে ব্রাজিল মুখোমুখি হবে প্যারাগুয়ের। ব্রাজিলের মাটিতে ডাগআউটে আনচেলত্তির প্রথম ম্যাচটি ঘিরে নিশ্চিতভাবে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকবে। ভক্ত–সমর্থকদের চাপ সামলে সেদিন দারুণ করে দেখাতে চাইবেন ক্লাব ফুটবলের সফলতম এই কোচ।
ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম