২০২৪–২৫ মৌসুম যেন শেষ হয়েও হলো না শেষ! চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পর ১৫ দিন বিরতি দিয়ে শুরু হবে ক্লাব বিশ্বকাপের ধুন্ধুমার লড়াই। তবে এই বিরতিও আবার বিরতি নয়। মাঝের এই সময়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অপেক্ষা করছে দুর্দান্ত সব ম্যাচ। যেখানে মাঠে দেখা যাবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, স্পেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো দলকে। একই সময়ে অবশ্য বাংলাদেশ ফুটবল দলও খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে, যে ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছে দারুণ উন্মাদনা! উল্লেখযোগ্য এসব ম্যাচ কখন–কোথায়, জেনে নেওয়া যাক একনজরে।ইকুয়েডর–ব্রাজিল

বিশ্বকাপ বাছাই
৬ জুন, শুক্রবার, ভোর ৫টা

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও ইকুয়েডর। ম্যাচটি দিয়ে নতুন এক অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে ব্রাজিলের ফুটবল। এই ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে অভিষেক হবে কার্লো আনচেলত্তির। এ ম্যাচে সব ছাপিয়ে তাই চোখ থাকবে আনচেলত্তির ওপরই। এমনকি ম্যাচটিতে জিতলে ইকুয়েডরকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে আসার সুযোগ থাকবে ব্রাজিলের। এখন আনচেলত্তির অভিষেকে জয় দিয়ে ব্রাজিল শুভসূচনা পায় কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ: মেসি-রোনালদো-নেইমার, কে থাকবেন কে থাকবেন না২৩ এপ্রিল ২০২৫ব্রাজিল–প্যারাগুয়ে

বিশ্বকাপ বাছাই
১১ জুন, বুধবার, সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট

ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের হয়ে আনচেলত্তির অভিষেক হলেও সেই ম্যাচ কিন্তু হবে প্রতিপক্ষের মাঠে। ঘরের মাঠে অভিষেকের জন্য আনচেলত্তিকে অপেক্ষা করতে হবে ১১ জুন পর্যন্ত। যেদিন সাও পাওলোর অ্যারেনা করিন্থিয়ান্সে ব্রাজিল মুখোমুখি হবে প্যারাগুয়ের। ব্রাজিলের মাটিতে ডাগআউটে আনচেলত্তির প্রথম ম্যাচটি ঘিরে নিশ্চিতভাবে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকবে। ভক্ত–সমর্থকদের চাপ সামলে সেদিন দারুণ করে দেখাতে চাইবেন ক্লাব ফুটবলের সফলতম এই কোচ।

ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ