শ্রীমঙ্গলের কোরবানির হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়, বিক্রি কম
Published: 3rd, June 2025 GMT
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সাগরদিঘি পাড়ের কোরবানির পশুর হাটে রাজশাহী থেকে নিয়ে আসা ১৫ মণ ওজনের একটি হরিয়ানা জাতের গরু নজর কেড়েছে সবার। কালচে রঙের কারণে গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘কালো মানিক’। মালিক রুহুল আমিন এটির দাম হাঁকছেন ৯ লাখ টাকা। তবে ক্রেতারা সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেই চলে যাচ্ছেন।
বাজারে এটি সবচেয়ে বড় গরু হওয়ায় অনেকে কিনতে না পারলেও দেখতে ভিড় করছেন। কালো মানিক ছাড়াও রুহুল আমিন ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকার দামের আরও ১৭টি গরু এনেছেন হাটে।
শুধু রুহুল আমিন নন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা গতকাল সোমবার সকাল থেকেই ছোট-বড় গরু, মহিষ ও ছাগল নিয়ে হাটে হাজির হয়েছেন। বাজারে শুরু থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে অধিকাংশই গরু দেখে দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন, ভিড় থাকলেও বিক্রি তুলনামূলক অনেক কম।
গরু ব্যবসায়ী রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রীমঙ্গলের সাগরদিঘি বাজারে এর আগেও তিনি কয়েকবার এসেছেন। ক্রেতা আসছেন, দরদাম করছেন। কেউ নিচ্ছেন না। তিনি আশা করছেন, ঈদের আগের দিন সব কটি গরুই বিক্রি করে দিতে পারবেন।
বাজারে কথা হয় হবিগঞ্জের মিরপুর থেকে আসা আরেক ব্যবসায়ী সালাম মিয়ার সঙ্গে। তিনি ১৪-১৫ মণ ওজনের ১৫টি ষাঁড় এনেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, প্রতিবছর এই হাটে ভালো গরু বিক্রি হয়, তাই এবারও এসেছেন।
প্রথম দিনের হাট ঘুরে দেখা যায়, গরু দেখতে ও কিনতে লোকজনের ভিড় লেগেই আছে। এসেছেন স্থানীয় রুবেল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমার বাজেট ৮০ হাজার টাকা। গরু পছন্দ হলেও দামে মিলছে না। ঘুরে দেখছি, দরদাম হলে কিনে নেব।’
আরেক ক্রেতা আব্বাস মিয়া বলেন, ‘গরু পছন্দ হয়েছে, দামেও হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো ঈদের আগের কয়েক দিন এই গরু রাখার জায়গা বাড়িতে নেই। তাই আর আজ কিনিনি। ঈদের আগের দিন একটা কিনে নিয়ে যাব।’
সাগরদিঘি পশুর হাটের ইজারাদার দুলাল হাজি বলেন, ‘সাগরদিঘি পাড়ে সারা বছরই সপ্তাহে একদিন গরুর হাট বসে। ঈদ এলে সপ্তাহখানেক একটানা গরু–ছাগল ইত্যাদি পশু বেচাকেনা হয়। আমরা এবারে এক লাখের ভেতর গরু কিনলে এক হাজার টাকা হাসিল নিচ্ছি। কোরবানির হাটে কেউ যেন অসুস্থ গরু নিয়ে না আসেন ও কেউ যেন দালালের খপ্পরে পড়ে হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য আমাদের ভলান্টিয়ারেরা কাজ করছেন। তা ছাড়া বাজারে সার্বক্ষণিক পুলিশ নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র হ ল আম ন স গরদ ঘ করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা