উইলিয়াম শেক্‌সপিয়ারের শিল্পকর্ম সমগ্রের প্রথম চারটি সংস্করণের এক সেট এ মাসে নিলামে তোলা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, নিলামে এগুলোর দাম সাড়ে চার মিলিয়ন পাউন্ড (৬ মিলিয়ন ডলার) উঠতে পারে। গত মাসে শেক্‌সপিয়ারের ৪৬১তম জন্মদিনে সোথবির নিলামঘর এগুলো বিক্রির ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়, ১৯৮৯ সালের পর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ফোলিওর একটি সেট একক লট হিসেবে নিলামে তোলা হবে।

নিলাম সংস্থাটি বিক্রয়মূল্য সাড়ে তিন মিলিয়ন থেকে সাড়ে চার মিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে অনুমান করেছে। ১৬১৬ সালে শেক্‌সপিয়ারের মৃত্যুর পর নাটকগুলো একক খণ্ডে সংগ্রহ করেন তাঁর বন্ধু জন হেমিংস ও হেনরি কন্ডেল। তাঁরা নাট্যদল কিংস মেনের অভিনেতা ও শেয়ারহোল্ডার।

মিস্টার উইলিয়াম শেক্‌সপিয়ার্স কমেডিজ, হিস্টোরিজ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি শিরোনামের ফার্স্ট ফোলিওতে ৩৬টি নাটক প্রকাশিত হয়, যার অর্ধেক প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়। পণ্ডিতেরা বলেন, বইটি না থাকলে ম্যাকবেথ, দ্য টেম্পেস্ট, টুয়েলভথ নাইট-এর মতো নাটকগুলো হয়তো হারিয়ে যেত। সোথবি এই খণ্ডটিকে ‘ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা’ বলে অভিহিত করেছে।

১৬২৩ সালে প্রথম সংস্করণে প্রায় ৭৫০ কপি মুদ্রিত হয়েছিল, যার মধ্যে ২৩০ কপি আছে বলে জানা যায়। যার বেশির ভাগ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় বা গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত আছে। ২০২০ সালে নিলামে ৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা কয়েক কপি ফার্স্ট ফোলিও।

সূত্র: এপি

গ্রন্থনা: রবিউল কমল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ