ভুট্টা ক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মৃত্যু
Published: 4th, June 2025 GMT
পঞ্চগড়ে ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন।  
বুধবার (৪ জুন) সকালে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লা হিল জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়ারা হলেন- ধাক্কামারা ইউনিয়নের বেংহারি পাড়ার সফিউল ইসলামের ছেলে রব্বানী (৩৫), লিয়াকত আলীর ছেলে শাহীন ইসলাম (৪৫) এবং কলেজছাত্র জামিদুল ইসলাম। আহত ব্যক্তির নাম জয় ইসলাম। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
উখিয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের দেয়াল ধসে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
হাকিমপুরে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধাক্কামারা ইউনিয়নের ১৪ জনের একটি দল চুক্তিতে ফকিরের হাট এলাকার একটি ভুট্টা ক্ষেতে কাজ করছিল। ক্ষেতে আগেই পড়ে ছিল বৈদ্যুতিক লাইনের একটি ছেঁড়া তার। কাজের সময় সেখানে বিদ্যুৎ ছিল না। হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হলে কয়েকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান কলেজছাত্র জামিদুল ইসলাম। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রব্বানী ও শাহীন ইসলাম।
আহত জয় ইসলাম বলেন, “ভুট্টা ক্ষেতেই পড়ে ছিল বৈদ্যুতিক লাইনের তার। তখন বিদ্যুৎ ছিল না। হঠাৎ পা ঝিনঝিন করতে থাকে, দেখি অন্যরাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। আমি দৌঁড়ে গিয়ে বারবার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দেই, কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি। পরে আরো অনেকে ফোন দিয়ে জানালে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়। তারপর আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন এলাকাবাসী। আমার ভাই শাহীন ইসলাম বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে ছটফট করছিল।”
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.                
      
				
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’