ছাত্রশিবিরের আইনি নোটিশের নিন্দা ছাত্র ফেডারেশনের
Published: 5th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের চার নেতার নামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আইনি নোটিশ পাঠানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
এর আগে গত সোমবার ছাত্রশিবিরের আইন সম্পাদক আরমান হোসেনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম এই নোটিশ পাঠান। ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক ও সম্পাদক সাকিবুর রনিকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে গত ২৯ মে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও অপপ্রচারের অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়, ফেডারেশন তাদের বক্তব্যে বলেছে—ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে পুলিশের উপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলা করেছে। চট্টগ্রামে হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করলে থানায় ‘মব’ সৃষ্টি করা হয়েছে।
এই বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে ছাত্রশিবিরের দেওয়া নোটিশে বলা হয়, ‘আপনারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশ করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। যেটি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের গোচরীভূত হয় এবং গত মাসের ৩১ তারিখ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল এক যৌথ বিবৃতিতে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।’
ছাত্রশিবিরের এই আইনি নোটিশ পাঠানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ছাত্র ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতা প্রত্যাশা করেছিল সব পক্ষ ভিন্নমত সত্ত্বেও একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও সহাবস্থানের অলিখিত বিধান মেনে চলবে। আমাদের অনেক দ্বিমত থাকবে, কিন্তু তার প্রকাশ হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা আশা করেছিলাম, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর হামলা-মামলার সংস্কৃতি আর ফেরত আসবে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলার মধ্য দিয়ে তারা সেই অলিখিত বিধান ভঙ্গ করেছে। ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পযায়ের বর্তমান ও সাবেক নেতা-কর্মীরা সেসব হামলায় অংশগ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুনচট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’র হামলা, আহত ১২২৮ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক র আইন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ‘গোস্ট কল’ ও ‘গোস্ট হায়ার’ প্রচারণার মাধ্যমে সাইবার হামলা চালাচ্ছে ব্লু–নরফ নামের একদল হ্যাকার। ল্যাজারাস হ্যাকার দলের শাখা হিসেবে পরিচিত হ্যাকারদের দলটি ভারত, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ওয়েব৩ ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে এ ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোস্ট কল ও গোস্ট হায়ার প্রচারণা মূলত ম্যাকওএস ও উইন্ডোজ ব্যবহারকারী ব্লকচেইন ডেভেলপার ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়। এ ধরনের সাইবার হামলায় হ্যাকাররা টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে নিজেদের বিনিয়োগকারী পরিচয়ে ভুয়া সাইটে অনলাইন বৈঠকের আমন্ত্রণ জানায়। বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য কেউ ‘আপডেট’ অপশনে ক্লিক করলেই কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এরপর হ্যাকাররা দূর থেকেই তথ্য চুরির পাশাপাশি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।
ক্যাসপারস্কি জিআরইএটির নিরাপত্তা গবেষক সোজুন রিউ জানান, আক্রমণকারীরা আগের ভুক্তভোগীদের ভিডিও ভুয়া অনলাইন বৈঠকে চালিয়ে দেখায়, যেন ভিডিও কলটি বাস্তব মনে হয়। এভাবেই তারা বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করে। এই প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত তথ্য শুধু ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধেই নয়, পরবর্তী সময়ে সাপ্লাই চেইন আক্রমণেও ব্যবহার করা হয়। আক্রমণকারীরা এভাবে বিশ্বাসের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীর সিস্টেমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার চেষ্টা করে।
এ ধরনের আক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন সহযোগীদের তথ্য যাচাই, অপরিচিত বা যাচাইহীন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সব সময় নিরাপদ যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা। একই সঙ্গে সার্বক্ষণিক সুরক্ষা, ইডিআর ও এক্সডিআর সক্ষমতার জন্য ক্যাসপারস্কি নেক্সট ব্যবহারের সুপারিশ করেছেন তাঁরা।