ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হতেই দেশের সব মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে গতকাল বুধবার ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা মোড় থেকে কোনাবাড়ী এবং বাইপাইল পর্যন্ত বিকেল থেকে যানজট তৈরি হয়েছে।
রাত ১০টার দিকে দু’পাশেই প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট ছিল। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায়
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথে ছিল ধীরগতি। গাড়ির চাপ বাড়ায় ভোগান্তি ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর অংশে।
সবচেয়ে বেশি গাড়ির চাপ বেড়েছে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে। গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু পারাপার হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬৪ যানবাহন। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯ টাকা। পারাপার হওয়া গাড়ি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
যদিও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, এখন পর্যন্ত ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। তবে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
শহরমুখী কোরবানি পশুবাহী গাড়ি এবং মহাসড়কের পাশে হাটের কারণেও ভোগান্তি বাড়ার শঙ্কা রয়েছেও। সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, বিকল গাড়ি, শেষ সময়ে কলকারখানার শ্রমিকবাহী লক্কড়ঝক্কড় বাস-ট্রাক ও দুর্ঘটনায়ও রয়েছে ভোগান্তির ভয়।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গতকাল যানজট ছিল না। তবে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার অংশে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজট হয়নি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প কী ভাবছেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার বলেছেন, তিনি আপাতত এমন কোনো চুক্তির কথা ভাবছেন না, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে সহায়তা করবে।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনা নিয়েও ট্রাম্প অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এসব দেশ পরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষ্য হলো, তিনি যুদ্ধকে আরও তীব্র করতে চান না।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পের সবশেষ এ মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনকে টমাহক দিতে তিনি এখনো অনিচ্ছুক।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছেন?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আসলে তা নয়।’ তবে তিনি যোগ করেন, ভবিষ্যতে নিজের মত বদলাতে পারেন।
গত ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে। বৈঠকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়।
গত শুক্রবার মার্ক রুত্তে বলেন, বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়া হলে পরিণতি ভালো হবে না।
আরও পড়ুনটমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না২০ ঘণ্টা আগেদ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমাহক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়।
ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে টমাহক। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে টমাহক রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে