Prothomalo:
2025-09-18@03:30:29 GMT

বই পড়লে মস্তিষ্কে যা হয়

Published: 5th, June 2025 GMT

একটি চমৎকার বইয়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বেশ দারুণ। বই পড়ার সময় মস্তিষ্কে আসলে কী ঘটে, তা নিয়ে আমরা আসলেই খুব কম জানি। বই পড়ার সময় মস্তিষ্কে যা হয়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করছেন। বই পড়ার সময় আমাদের মাথার ভেতরে যে জগৎ তৈরি হয়, তা নিয়ে জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।

জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান কগনিটিভ অ্যান্ড ব্রেন সায়েন্সেসের স্নায়ুবিজ্ঞানী সাবরিনা টার্কার বলেন, ভাষার উপস্থাপনা নিয়ে প্রচুর স্নায়ুবিজ্ঞান–সংক্রান্ত গবেষণা রয়েছে। অন্যদিকে মানুষের মস্তিষ্কে ভাষার প্রভাব সম্পর্কে খুব কম তথ্য রয়েছে। আমরা যা জানি, তার বেশির ভাগই অল্পসংখ্যক বিষয় নিয়ে একক গবেষণা থেকে জানা গেছে।

বই পড়ার বিষয়ে বিজ্ঞানীরা একটি মেটা-বিশ্লেষণ পরিচালনা করেছেন, যেখানে মোট ৩ হাজার ৩১ জন প্রাপ্তবয়স্কের মস্তিষ্ক স্ক্যানের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৬৩টি পরীক্ষার ফলাফল একত্র করে নতুন তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। পরীক্ষায় বিভিন্ন পড়ার বিষয়ের কতটা প্রভাব, তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক অক্ষর থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা নীরবে ও জোরে বই পড়ার বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেছেন। একই সঙ্গে বাস্তব শব্দ ও অর্থহীন শব্দের প্রভাব দেখেছেন।

বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বই পড়ার সময় মস্তিষ্কের কোন অঞ্চল সক্রিয় হয়ে ওঠে, তা বের করেছেন। মস্তিষ্কের বাঁ গোলার্ধ ভাষা প্রক্রিয়াকরণের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। যেকোনো কিছু পড়লে বা পৃথক অক্ষর, বাক্য বা সম্পূর্ণ পাঠ্য পড়লে মস্তিষ্কের এই অংশ সক্রিয় হয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ‘আমরা বাঁ গোলার্ধের অঞ্চলে কেবল অক্ষর, শব্দ, বাক্য ও পাঠ্য পড়ার জন্য উচ্চ প্রক্রিয়াকরণের ছাপ পেয়েছি।’

আগে স্নায়ুবিজ্ঞানীরা সেরিবেলামের ভূমিকা কিছুটা উপেক্ষা করেছেন। দেখা যাচ্ছে, সেরিবেলাম কেবল শব্দ প্রক্রিয়াকরণেই নয়, অর্থ তৈরিতেও জড়িত। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ডান সেরিবেলাম সব ধরনের পড়ার কাজে সক্রিয় থাকে। জোরে পড়ার সময় ডান সেরিবেলামের কিছু অংশ অনেক বেশি সক্রিয় দেখা যায়। যা ইঙ্গিত দেয়, লিখিত শব্দকে বক্তৃতায় অনুবাদ করার ক্ষমতার জন্য এই অংশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে বাঁ সেরিবেলাম শব্দ পড়ার সময় বিশেষভাবে ব্যস্ত থাকে।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বাঁ সেরিবেলাম পড়ার সময় শব্দের অর্থ বের করার কাজে জড়িত থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে হয়। ডান সেরিবেলাম মূলত সামগ্রিক পাঠপ্রক্রিয়ায় অবদান রাখে। শব্দ নীরবে পাঠ করলে বাঁ অরবিটোফ্রন্টাল, সেরিবেলার ও টেম্পোরাল কর্টিস আরও ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় হয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁদের গবেষণা পড়ার অন্তর্নিহিত স্নায়বিক স্থাপত্য সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। বই পড়ার প্রভাব নিয়ে গবেষণাটি নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড বায়োবিহেভিয়রাল রিভিউসে প্রকাশিত হয়েছে।

সূত্র: সায়েন্সঅ্যালার্ট

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রক র য কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ