তেমন ভোগান্তি নেই ঢাকা–আরিচা মহাসড়কে, ফেরি ঘাটেও স্বস্তি
Published: 5th, June 2025 GMT
রাতের চেয়ে সকালে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বেড়েছে। তারপরও পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটসহ ঢাকা–আরিচা মহাসড়কে তেমন ভোগান্তি নেই। অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়িতে যেতে পারছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই কর্মকর্তা জানান, বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে নৌবহরে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘রাতভর যানবাহন ও যাত্রীর বেশ চাপ ছিল। তবে সকালের দিকে অপেক্ষামাণ সব যানবাহনই পারাপার করতে পেরেছি। এখন ঘাট এলাকায় পরিবহন বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি রানিংয়ে পার করা হচ্ছ।’
পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে নদীতে স্রোত বেড়েছে, ফলে ফেরিতে কিছুটা সময় বেশি লাগছে বলে জানিয়েছেন সালাম হোসেন।
পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কমে আসে। তবে ঈদ এলেও এই নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় বিগত কয়েকটি ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে নদী পার হওয়া গেছে। এবারের ঈদেও এখন পর্যন্ত একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ঘাট সূত্র জানিয়েছে, এ বছর নৌপথে ছোটবড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। আর সাধারণ যাত্রীদের পারাপারে পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া নৌপথে ১৮টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।
ঢাকা–আরিচা মহাসড়কসহ আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ প ট র য় দ লতদ য়
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম