রাতের চেয়ে সকালে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বেড়েছে। তারপরও পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটসহ ঢাকা–আরিচা মহাসড়কে তেমন ভোগান্তি নেই। অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়িতে যেতে পারছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই কর্মকর্তা জানান, বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে নৌবহরে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘রাতভর যানবাহন ও যাত্রীর বেশ চাপ ছিল। তবে সকালের দিকে অপেক্ষামাণ সব যানবাহনই পারাপার করতে পেরেছি। এখন ঘাট এলাকায় পরিবহন বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি রানিংয়ে পার করা হচ্ছ।’

পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে নদীতে স্রোত বেড়েছে, ফলে ফেরিতে কিছুটা সময় বেশি লাগছে বলে জানিয়েছেন সালাম হোসেন।  

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কমে আসে। তবে ঈদ এলেও এই নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। কিন্তু নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় বিগত কয়েকটি ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে নদী পার হওয়া গেছে। এবারের ঈদেও এখন পর্যন্ত একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

ঘাট সূত্র জানিয়েছে, এ বছর নৌপথে ছোটবড় মিলে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। আর সাধারণ যাত্রীদের পারাপারে পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া নৌপথে ১৮টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।

ঢাকা–আরিচা মহাসড়কসহ আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ প ট র য় দ লতদ য়

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ