চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী বাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে গরু রাখায় সড়কে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি দেখা দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে সড়কে কয়েকটি গরুর হাট বসে।

যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়ক ঘেঁষে গরুর হাট সরিয়ে দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এতে ধীরগতিতে চলা ঘরমুখো যাত্রীদের যানবাহনে ফিরেছে গতি। শুক্রবার সকালে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ টিমকে সড়কে দেখা গেছে।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, মহাসড়কে পুলিশের তদারকি পর্যাপ্ত নয়। সড়কের পাশে বাজারগুলোতে কোরবানির গরু রাখা হয়েছে। কয়েকটি কনটেইনার ডিপোর গাড়িও সড়কে রাখায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। 
 
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ভাটিয়ারীসহ কয়েকটি বাজারে সড়ক ঘেঁষে গরু বিক্রি করছিলেন ইজারাদাররা। এতে ঘরমুখো যাত্রীরা কিছুটা সমস্যায় পড়েন। যান চলাচলে ধীরগতি দেখা গেছে। উপজেলোর কয়েকটি স্থানে মহাসড়কে পাশে রাখা প্রায় দুই শতাধিক বিক্রি জন্য রাখা গরু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইজারাদারকে মহাসড়কে গরু না রাখার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। 

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

ফখরুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ সবাইকে এই বিষয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয়। মহাসড়কের পাশে বিক্রির জন্য রাখা গরু সরিয়ে দিতে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান চলবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য নজট ঈদ ল আজহ সড়ক ঘ

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জিডি

ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গামান্দিরের কালীপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

গত বুধবার বিকেলের মধ্যেই প্রতিমার ভেঙে ফেলা অংশগুলো মেরামত করা হয়। ওই প্রতিমা নির্মাণশিল্পী কানাইপুরের বিজন পাল প্রতিমাটি মেরামত করেন। এ জন্য আনুষঙ্গিক ব্যয় হয়েছে আড়াই হাজার টাকা।

মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাসুদেব বিশ্বাস বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম আমাদের জানা নেই। এ জন্য মামলা হয়নি।’

বাসুদেব বিশ্বাস আরও বলেন, প্রতিমা মেরামতের টাকা জেলা পুলিশ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তা গ্রহণ না করে নিজেরাই এর ব্যয়ভার বহন করেন।

কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন বলেন, আগামী রোববার (৩ আগস্ট) এলাকাবাসীকে নিয়ে ওই মন্দির প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে এলাকায় গোয়েন্দা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আসামিদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে কোনো এক সময় কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি সর্বজনীন শ্রীশ্রী কালী ও দুর্গামন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ