মহাসড়কে পাকুড়গাছে বাসের ধাক্কা, বাস ও গাছের মাঝে আটকে আছেন এক ব্যক্তি
Published: 6th, June 2025 GMT
ফরিদপুরের মধুখালীতে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক ব্যক্তিসহ পাকুড়গাছে আঘাত করে দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই ব্যক্তি দুই ঘণ্টা ধরে গাছ ও বাসের মাঝখানে আটকে আছেন। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেছরদিয়া মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে যশোরগামী একটি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মধুখালী উপজেলার মেছরদিয়া মোড় এলাকায় উল্টো দিক (ডান দিকে) দিয়ে গিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়ানো একটি লোককে নিয়ে একটি পাকুড়গাছে আঘাত করেন। এরপর এলাকাবাসী মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। সাড়ে ৯টা থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এ কারণে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মধুখালী পৌরসভার বাসিন্দা শাহ মো.
যানজটে আটকে পড়া ফরিদপুর থেকে মাগুরাগামী যাত্রী শুভ বিশ্বাস জানান, আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে হাইওয়ে পুলিশ মধুখালী ফায়ার সার্ভিস ও পরে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। তবে তাঁরা বাসটি সরাতে ব্যর্থ হন। সড়ক বিভাগের একটি রেকার দিয়েও বাসটি সরানো সম্ভব হয়নি।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসের যাত্রী যশোরের বাসিন্দা ইয়ামিন খান (২৬) জানান, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রেবা খান পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন। তাঁরা দৌলতদিয়া থেকে ওই বাসে উঠেছেন। বাসটি মধুখালী শহরে ঢোকার আগে দ্রুতগতিতে চলছিল। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কারণে ঝাঁকুনিতে বাসের যাত্রীরা কমবেশি আঘাত পেয়েছেন। চালক পালিয়ে গেছেন।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক অধীর চন্দ্র হাওলাদার বলেন, গাছ ও বাসের মধ্যে আটকে পড়া ব্যক্তি এখনো বেঁচে আছেন। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করার প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন বড় রেকার।
করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন চৌধুরী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রথমে সড়ক ও জনপথের একটি রেকার পাঠানো হয়েছিল বাসটি টেনে তোলার জন্য। কিন্তু সেটি দুর্বল থাকায় কাজ হয়নি। বর্তমানে ভাঙ্গা থেকে হাইওয়ে পুলিশের রেকরটি আনা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম