গাজায় হামাসবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেওয়ার কথা স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু
Published: 6th, June 2025 GMT
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে তাঁর দেশ। গাজায় নতুন দফায় সামরিক হামলায় অন্তত ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর তিনি এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শে সরকার গাজার অভ্যন্তরীণ প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ‘সক্রিয়’ করেছে।
এর আগে নেতানিয়াহু গাজায় এমন কৌশল প্রয়োগ করছেন বলে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগদর লিবারম্যান অভিযোগ করেছিলেন।
নেতানিয়াহুর এ বিবৃতির মাধ্যমে ইসরায়েল সরকার প্রথমবারের মতো কিছু প্রভাবশালী গোত্রভিত্তিক সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়ার কথা স্বীকার করল। ত্রাণকর্মীদের অভিযোগ, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে পুরো গাজা যখন দুর্ভিক্ষের মুখে আছে তখন এই গোষ্ঠীগুলো হামলা চালাচ্ছে এবং ট্রাক থেকে ত্রাণ চুরি করছে।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে উদ্ধৃত করে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, নেতানিয়াহু যে গোষ্ঠীগুলোর কথা বলছেন তার একটি তথাকথিত ‘পপুলার ফোর্সেস’। এই গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইয়াসের আবু শাবাব। তিনি রাফা এলাকার একজন স্থানীয় গোত্রপ্রধান।
ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ গত মাসে সংগঠনটির কার্যকলাপ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে এ গোষ্ঠীটিকে ‘অ্যান্টিটেরর সার্ভিস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে গাজাভিত্তিক কয়েকটি সূত্রের বরাতে বলা হয়, এ গোষ্ঠী প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র সদস্য নিয়ে গঠিত। তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অঘোষিত অনুমোদন নিয়ে কাজ করছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আবু শাবাব গোষ্ঠী অনলাইনে দেওয়া এক ঘোষণায় দাবি করেছে, তাদের যোদ্ধারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহযোগিতা করছে। গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন এসব ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানে নিযুক্ত আল–জাজিরার প্রতিনিধি হামদাহ সালহুত বলেন, ইসরায়েলের সরকার বা মন্ত্রিসভার মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে দেশটির বিরোধী দল দাবি করেছে। নেতানিয়াহু বলছেন, এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মূলত গাজায় হামাসকে পরাজিত করতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করতে পারে।
আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধবিরতি: নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো০৫ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র সশস ত র গ
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন