ঈদের দিনে দুপুর পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই
Published: 7th, June 2025 GMT
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আজ শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে আরো জানানো হয়েছে, আজ শনিবার সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
আরো পড়ুন:
বৈরী আবহাওয়া: খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে হচ্ছে না ঈদের জামাত
বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি, ঈদের দিনেও সম্ভাবনা
আগের দিন শুক্রবার (৬ জুন) ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে শনিবার (৭ জুন) সকালে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা/হাসান/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’