খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
Published: 8th, June 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় এ শুভেচ্ছাবিনিময় হয়।
শনিবার রাত সাড়ে আটটায় বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে ফিরোজায় প্রবেশ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাক্ষাতের পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হালিম, আফরোজা খানমসহ কয়েকজন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সাক্ষাতের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ খালেদা জিয়াকে যখন থেকে আটক করে রেখেছিল, যখন তিনি কারাগার থেকে বাসায় ফিরেছেন, গৃহবন্দী থেকেছেন। তখন আমরা তাঁর সঙ্গে সেভাবে দেখা করতে পারিনি। পরবর্তীকালে তিনি যখন মুক্ত হয়েছেন, তখন ঈদের দিনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি। এটা আজ আমাদের জন্য আনন্দের মুহূর্ত, আনন্দক্ষণ।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) সুস্থ আছেন, ভালো আছেন, আগের চেয়ে ইনশা আল্লাহ ভালো আছেন। তিনি আপনাদের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আপনাদের ঈদ মোবারক জানিয়েছেন, দেশবাসীকে ঈদ মোবারক জানিয়েছেন এবং সবাইকে তাঁর জন্য, দেশের জন্য দোয়া করতে বলেছেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ম র জ ফখর ল র সদস য ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম