নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সুখচর এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা করে হ্যান্ডকাফসহ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় সোমবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় মামলা করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো.

মিরাজ উদ্দিনকে আটক করতে অভিযান পরিচালনা করেন জাহাজমারা পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা। তারা নতুন সূখচর বাজার গিয়ে আসামিকে আটক করে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে থানায় ফিরছিলেন। এ সময় মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি দল এসে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। একপর্যায়ে তারা হ্যান্ডকাফসহ আসামি মিরাজকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অভিযুক্তদের ইটের আগাতে আহত হন এএসআই অভিজিত বড়ুয়া, পুলিশ সদস্য সুজন কান্তি নাথ। পরে জাহাজমারা ফাড়ি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে উপজেলা সদরে নিয়ে আসে। আহত পুলিশ সদস্যদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মিরাজ, ইয়াছিনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে।

পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি মিরাজ উদ্দিন জাহাজমারা ইউনিয়নের নতুন সূখচর গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা হাতিয়াতে বিরল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। এ ঘটনায় আলাদা একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের দ্রুত আটক করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য প ল শ র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

সনাহাদির উপরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শহরে যুবদলের মিছিল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের নেতৃত্বে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেছে মহানগর যুবদল।

‎শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর হাসপাতাল রোড় থেকে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে মহানগর যুবদল। মিছিলটি খানপুর থেকে শুরু করে মেট্রোহলের মোড় হয়ে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে মহানগর বিএনপির মূল মিছিলের সাথে অংশগ্রহণ করেন।

‎এময়ে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপরে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িত দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়।

‎নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম, ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ