শমিতের অভিষেক, একাদশে হামজা–ফাহামিদুলসহ আরও যাঁরা
Published: 10th, June 2025 GMT
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে শমিত সোমের অভিষেক অনেকটা অনুমেয়ই ছিল। শেষ পর্যন্ত লাল-সবুজ জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামতে যাচ্ছেন এই মিডফিল্ডার। তাঁর সঙ্গে একাদশে আছেন হামজা চৌধুরী এবং ফাহামিদুল ইসলামও।
বাংলাদেশি মা-বাবার সন্তান শমিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে ২টি ম্যাচও খেলেছেন। লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ফুটবল না খেলা শমিত ক্লাব ফুটবলে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলেন।
সর্বশেষ গত ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে খেলা একাদশ থেকে পরিবর্তন এসেছে মোট ৩টি। বাদ পড়েছেন সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া, তাজ উদ্দিন।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে তৃতীয় রাউন্ডে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আজ সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশ। ম্যাচটি জিতলে গ্রুপসেরা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বাংলাদেশের।
বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে এ মুহূর্তে ১টি করে পয়েন্ট গ্রুপের চার দল বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের। একই দিনে হংকংয়ের মাঠে খেলবে ভারত। শীর্ষে ওঠার দুয়ার চার দলের জন্যই উন্মুক্ত।
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে খুব একটা ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি ম্যাচে দুবারের দেখায় একবার ড্র আরেকবার হেরেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ মে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হারে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের একাদশমিতুল মারমা, তপু বর্মণ (অধিনায়ক), তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, শাকিল আহাদ, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, মোহাম্মদ হৃদয়, ফাহমিদুল ইসলাম, শাহ কাজেম, রাকিব হোসেন।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।