অপেক্ষার অবসান ঘটেছে আজ। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার শমিত শোমের। তাকে জায়গা দিতেই একাদশে ঠাই হয়নি জামাল ভূঁইয়ার।

ম্যাচ শুরুর পর থেকেই শরীরী ভাষায় আক্রমনাত্মক ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি হামজার দল। ম্যাচের ৫ মিনিটে রাকিবকে মাটিতে ফেলে দিলেন সিঙ্গাপুরের এক ডিফেন্ডার। কিন্তু ফাউল না দেওয়ায় লাইন্সম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ হন রাকিব। ৯ মিনিটে একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় সিঙ্গাপুরের। হ্যারিস স্টুয়ার্টের লং থ্রো থেকে জর্ডানের হেডে বল পেয়েছিলেন সং উই ইয়াং । কিন্তু বক্সের ভেতর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সিঙ্গাপুরের এই মিডফিল্ডার।

ম্যাচের ১৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের দুজনকে পরাস্ত করে শাকিল বল বাড়িয়েছিলেন রাকিবের দিকে। কিন্তু রাকিবের দুর্বল শট সিঙ্গাপুর গোলরক্ষকের হাতে সহজেই তালুবন্দী হয়। ২৪ মিনিটে স্টুয়ার্টকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেছেন বাংলাদেশের ফাহমিদুল ইসলাম। ২৫ মিনিটে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তারিক কাজী। যদিও কিছু সময় পর তিনি মাঠে ফিরে আসেন। ৩১ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভে বাংলাদেশকে বাঁচালেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। বাঁ পাশ থেকে নেওয়া ইখসান ফান্দির শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকালেন তিনি।

ভুটান ম্যাচ থেকে এসেছে আরও দুই পরিবর্তন। মিডফিল্ডে জায়গা হয়নি ভুটান ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে গোল করা সোহেল রানার। তার জায়গায় সেরা একাদশে মোহাম্মদ হৃদয়কে রেখেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। রক্ষণেও এসেছে পরিবর্তন, লেফটব্যাক তাজ উদ্দিনের পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন শাকিল আহাদ তপু। সম্ভাব্য ৪-২-৩-১ ছকে খেলাবেন কাবরেরা। ২৩ সদস্যদের চূড়ান্ত স্কোয়াড থেকে তিন জন নেই। ইসা ফয়সাল, মজিবর রহমান জনি ও মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জায়গা হয়নি।

বাংলাদেশের একাদশ: মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, শাকিল আহাদ, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, হৃদয়, কাজেম শাহ, ফাহমিদুল ইসলাম ও রাকিব হোসেন।

এদিকে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলা একাদশ থেকে তিন পরিবর্তন এনেছে সিঙ্গাপুর।

সিঙ্গাপুর একাদশ: ইজওয়ান মাহবুব, আমিরুল আদলি, জর্ডান এমাভিউয়ে, রায়হান স্টুয়ার্ট, সাফুয়ান বাহারুদিন, শাহ শাহিরান, হারিস হারুন, হামি শিয়াহিন, সং উই ইয়ং, হ্যারিস স্টুয়ার্ট, ইখসান ফান্দি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ

চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।

এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”

তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”

এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।

অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।

ঢাকা/অমরেশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ