বাংলাদেশ ১–২ সিঙ্গাপুর
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের চোখে ছিল জয়ের ছবি। ছিল উত্তেজনা আর প্রত্যাশার চাপ। মাঠে ছিল চ্যালেঞ্জ, সেই চ্যালেঞ্জ শেষ পর্যন্ত উতরাতে পারেনি বাংলাদেশ দল।
হার মানতে হলো সিঙ্গাপুরের কাছে। ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হার, যা প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির যোগসূত্র ঘটাতে পারেনি। এই ম্যাচটাকে মনে করা হচ্ছিল দেশের ফুটবলের বাঁকবদলের একটা উপলক্ষ। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে থেকে গেল ব্যবধান।
কতটা আগ্রহ ছিল এই ম্যাচ নিয়ে? টিকিট পাওয়ার জন্য ছিল হাহাকার। গ্যালারিতে ছিল ২১ হাজার ৩১৭ জন দর্শক, এরপরও কিছু আসন ছিল ফাঁকা। দুপুর থেকেই দলে দলে ফুটবলপ্রেমীরা আসতে থাকেন স্টেডিয়ামের দিকে। অনেক বছর পর বাংলাদেশের ফুটবলে এমন উত্তেজনার পরশ। কিন্তু সিঙ্গাপুরের জয় সেই উত্তেজনায় ঢেলে দিয়েছে পানি, যে দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের লিগে খেলেন।
জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সিঙ্গাপুর.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।