ইউজিসি-ম্যাকগিল স্কলারশিপ, আর্থিক সুবিধা মেলে ৪ বছর
Published: 11th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন আহ্বান করেছে। পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য চার বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।
যেসব বিষয়ে আর্থিক সুবিধা দেবে—
ইউজিসি-ম্যাকগিল ফেলোরা নানা আর্থিক সুবিধা পাবেন।
১.
২. স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার বিমা পরিকল্পনা জন্য প্রায় ১ হাজার ১০০ কানাডিয়ান ডলার।
৩. বেতন থেকে বার্ষিক সহায়তা প্রায় ৯ হাজার ৮০০ কানাডিয়ান ডলার।
৪. প্রত্যাবর্তন বিমানভাড়া (প্রায় ৩,০০০ কানাডিয়ান ডলার)।
৫. ম্যাকগিল প্রতিবছর কুইবেক উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত শিক্ষার সম্পূর্ণ খরচ (বার্ষিক ২০ হাজার ২১৪ কানাডিয়ান ডলার) বহন করবেন, স্বাস্থ্যবিমা ব্যতীত।
আরও পড়ুনসৌদি আরব সরকারের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদনের সুযোগ১২ মে ২০২৫দরকারি তথ্য
১. প্রার্থীরা ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি তাঁদের পছন্দের ম্যাকগিল ডক্টরাল প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের জানুয়ারি (শীতকালীন) সেশনের জন্য ১ আগস্টের আগে এবং সেপ্টেম্বর (শরৎকালীন) সেশনের জন্য ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীরা তাঁদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে পারবেন যে তাঁরা ইউজিসি-ম্যাকগিল ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আবেদন করছেন।
২. ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের বিস্তারিত তথ্য নিজ দায়িত্বে ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
৩. এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আবেদন সম্পূর্ণ করার জন্য নিচের ওয়েবসাইটে https://macgill.ca/gps/funding/intl/international/students ভিজিট করতে পারেন।
৪. আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ১১ জুন ২০২৫ । এ তারিখের আগে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব পোর্টালে পৌঁছাতে হবে।
বিস্তারিত আরও তথ্য জানতে www.ugc.gov.bd ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে পারেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
আরও পড়ুনথাইল্যান্ডের এআইটি স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, জেনে নিন সব তথ্য০৪ মে ২০২৫আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত২১ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর থ ক স ব ধ ব শ বব দ য প এইচড র জন য ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন অংশ নিল ভারত
রাশিয়া-বেলারুশের যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে ভারত। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এ খবর জানিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার নেতৃত্বে গত শুক্রবার ‘জাপাদ-২০২৫’ নামে পাঁচ দিনের এ সামরিক মহড়া শুরু হয়। দুই দেশের সীমান্তে চলা মহড়ায় ভারতীয় সেনাদের অংশগ্রহণ মস্কো ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও জাপাদ-২০২৫ সামরিক মহড়ায় ৬৫ সশস্ত্র সেনা পাঠানোর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
যেকোনো ধরনের আগ্রাসন প্রতিহত করতে সেনাদের প্রস্তুতি প্রদর্শনের জন্য রাশিয়া ও বেলারুশ নাটকীয় এ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে।
এক লাখ সেনা এ মহড়ায় অংশ নিয়েছেন। মহড়ায় পারমাণবিক সক্ষমতার বোমারু যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এমন একটি সময়ে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন ন্যাটোর সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা চরমে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে পোল্যান্ডে রাশিয়ার ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।
এক লাখ সেনা এ মহড়ায় অংশ নিয়েছেন। মহড়ায় পারমাণবিক সক্ষমতার বোমারু উড়োজাহাজ ও যুদ্ধজাহাজের প্রদর্শন করা হয়েছে। এমন একটি সময়ে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন ন্যাটো দেশের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে পোল্যান্ডে রাশিয়ার ড্রোন ভূপাতিত করা হয়।গতকাল ছিল সামরিক মহড়ার শেষ দিন। এদিন সামরিক পোশাক পরে আসা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আজ আমরা জাপাদ-২০২৫ কৌশলগত মহড়ার চূড়ান্ত ধাপ পরিচালনা করছি।’
এ মহড়ায় অংশ নেওয়া ভারত একমাত্র বিদেশি শক্তি নয়। ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে তাস বলেছে, ইরান, বাংলাদেশ, বুরকিনা ফাসো, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ও মালির ‘টাস্কফোর্স এবং সামরিক দল’ এ মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
কিন্তু ভারতীয় সেনাদের অংশগ্রহণ অবশ্যই বিশেষ। ভারতের সেনাবাহিনীর অভিজাত পদাতিক বাহিনী কুমায়ুন রেজিমেন্ট মহড়ায় অংশ নেওয়া ভারতীয় দলটির নেতৃত্ব দিয়েছে। ভারতীয় সেনাদের মহড়ায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির ‘সহযোগিতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের মনোভাব জোরদার করা’।
রাশিয়ার এ মহড়ায় অংশগ্রহণ অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হবে। কারণ, এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের একজন ভারত, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং স্বাভাবিক অংশীদার। আমার বিশ্বাস, আমাদের বাণিজ্য আলোচনাগুলো ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারত্বের সীমাহীন সম্ভাবনা উন্মোচনের পথ তৈরি করবে।নরেন্দ্র মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রীগত মাস থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, এ শুল্কের মধ্যে ২৫ শতাংশ ভারতের ওপর ‘জরিমানা’ হিসেবে আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে ভারতকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ভারত–চীনের কাছে বিক্রি করা তেলের অর্থ ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে নিতে রাশিয়াকে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুনরাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়া চলছিল, ‘অবাক করে দিয়ে’ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত শুক্রবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘মনে হচ্ছে, অন্ধকারতম-গভীরতম চীনের ভেতরে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেলেছি। একসঙ্গে তাদের ভবিষ্যৎ দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ হোক।’
পোস্টে তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনে একসঙ্গে থাকা চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, পুতিন ও মোদির একটি ছবিও যুক্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বরিসোভের কাছে রাশিয়া-বেলারুশ যৌথ সামরিক মহড়ায় বেলারুশের এমআই-৩৫ হেলিকপ্টারও অংশ নেয়। শত্রুর ওপর আক্রমণ চালাতে এই হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫