মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঝিটকা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনটি দোকান সম্পূর্ণ এবং আরও চারটি দোকান ভয়াবহভাবে আগুনে পুড়ে গেছে। 

ফায়ার সার্ভিসের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বাজার বণিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) সকাল ৯টায় আগুনের সূত্রপাত হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।‌

আগুন লাগার প্রায় আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঝিটকা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে ফার্মেসি, জুতা, পোশাক, সেলুন ও মোবাইলের দোকান ছিল। ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের সব দোকান মালামালে ভরপুর ছিল। দোকান ও মালামাল মিলে কয়েক কোটি টাকার ওপরে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। আমাদের পুঁজি ও জীবনের সবকিছুই আগুনে পুড়ে গেছে।

এদিকে ভয়াবহ এ আগুনে পুরো ঝিটকা বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দ্রুত পুনর্বাসন সহায়তা পাওয়ার আশায় রয়েছেন। অন্যদিকে স্থানীয়রা কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স লিডার মো.

সোলাইমান মিয়া বলেন, “আমরা খবর পেয়েই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই এবং ৯.৫০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। আগুনে তিনটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আরও কয়েকটি দোকান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে আরও বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।”

ঢাকা/চন্দন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

সনাহাদির উপরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শহরে যুবদলের মিছিল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের নেতৃত্বে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেছে মহানগর যুবদল।

‎শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর হাসপাতাল রোড় থেকে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে মহানগর যুবদল। মিছিলটি খানপুর থেকে শুরু করে মেট্রোহলের মোড় হয়ে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে মহানগর বিএনপির মূল মিছিলের সাথে অংশগ্রহণ করেন।

‎এময়ে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপরে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িত দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়।

‎নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম, ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ