বন্দরে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক নয়নের আত্মহত্যা
Published: 11th, June 2025 GMT
বন্দরে নয়ন (২১) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারি যুবক নয়ন বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের চৈরারবাড়ী এলাকার সহিদ মিয়ার ছেলে।
আত্মহত্যার ঘটনার খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। গত মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১০টা হইতে বুধবার (১১ জুন) সকাল ৮টার মধ্যে যে কোন সময়ে উল্লেখিত এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আত্মহত্যাকারী যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আত্মহত্যাকারী যুবক নয়ন দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবে জীবন যাপন করে আসছিল।প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় নয়ন খাওয়া-দাওয়া সেরে টিন সেট ঘরে ঘুমাতে যায় ।
পরে বুধবার সকাল অনুমান ৮টায় ভিকটিম এর পিতা শহীদ ছেলে নয়নকে ডাকাডাকি করে। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পায় নয়ন লোহার আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করলে খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বক ন র য়ণগঞ জ য বক ন
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫