ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর বেলাবোতে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম (২৬) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন পুলিশ সদস্য।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে বেলাবো গাল স্কুল মাঠে চরবেলাব ও মাটিয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারত। আমরা কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ ঘণ্টার সংঘর্ষে আহত ৯০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‌টিস্যু চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

নিহত সাইফুল চরবেলাব গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বুধবার ফুটবল ম্যাচ চলাকালে গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। খেলার ফলাফলের বিরোধ নিয়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। আজ  চরবেলাব ও মাটিয়ালপাড়া গ্রামের লোকজন বাকবিতাণ্ডায় জড়ায়। মুহূর্তেই তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। এ সময় সাইফুল নিহত হন। আহত হন ৫০ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন পুলিশ সদস্য। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ