‎‎জর্ডানে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে ভালো খেলে র‍্যাঙ্কিংয়ে সুখবর পেল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আজ ফিফার সর্বশেষ হালনাগাদ করা র‍্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে পাঁচ ধাপ এগিয়েছে আফঈদা-রুপনারা।  ১০৯৯.৩৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ উঠেছে ১২৮ নম্বরে। বাংলাদেশের মেয়েদের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ৭.৫৫।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ‘সেঞ্চুরি’, ৪৪ বছর বয়সী গোলকিপার, বিশ্বকাপজয়ী ২৬—সংখ্যায় ক্লাব বিশ্বকাপ৫ ঘণ্টা আগে

‎‎গত ২৬ মে জর্ডান সফরে যাওয়ার সময় ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৩৩ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। এরপর ৩১ মে ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র করার পর ৩ জুন ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডানের সঙ্গেও ২-২ গোলে ড্র করে পিটার বাটলারের দল। র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা দুই দলের বিপক্ষে ভালো করাতেই বলার মতো এগিয়েছে বাংলাদেশ।

‎ছয় বছরের মধ্যে নারী ফুটবলে বাংলাদেশের এটাই সর্বোচ্চ অবস্থান। ২০১৯ সালের মার্চে ১২৭ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ ২০২২ সালে নেমে গিয়েছিল সর্বনিম্ন ১৪৭ নম্বরে।  দেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিং ১০০।  ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুবার ঠিক ১০০ নম্বরে উঠেছিল বাংলাদেশ।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিল নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল দল তাহলে কোন দেশের৭ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করা ইন্দোনেশিয়ার মেয়েরা এক ধাপ পিছিয়ে নেমেছে ৯৫ নম্বরে। জর্ডানও পিছিয়েছে এক ধাপ, নেমেছে ৭৫-এ।

‎‎নারী ফুটবলের র‍্যাঙ্কিংয়ে এক থেকে তিন নম্বর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি৷ এক থেকে তিনে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও জার্মানি। চার ধাপ এগিয়ে চারে উঠে এসেছে ব্রাজিল। আর আর্জেন্টিনার মেয়েরা ৩২ নম্বরে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির তার জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় একটি গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি একটি তাজা গ্রেনেড। শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘‘গ্রেনেডটির মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে একশ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’

বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘এক কৃষক তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। শুক্রবার তারা গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।’’

ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ