নারী ফুটবলে সুখবর, ছয় বছরের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ অবস্থানে বাংলাদেশ
Published: 12th, June 2025 GMT
জর্ডানে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে ভালো খেলে র্যাঙ্কিংয়ে সুখবর পেল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আজ ফিফার সর্বশেষ হালনাগাদ করা র্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে পাঁচ ধাপ এগিয়েছে আফঈদা-রুপনারা। ১০৯৯.৩৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ উঠেছে ১২৮ নম্বরে। বাংলাদেশের মেয়েদের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ৭.৫৫।
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ‘সেঞ্চুরি’, ৪৪ বছর বয়সী গোলকিপার, বিশ্বকাপজয়ী ২৬—সংখ্যায় ক্লাব বিশ্বকাপ৫ ঘণ্টা আগেগত ২৬ মে জর্ডান সফরে যাওয়ার সময় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৩৩ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। এরপর ৩১ মে ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র করার পর ৩ জুন ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডানের সঙ্গেও ২-২ গোলে ড্র করে পিটার বাটলারের দল। র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা দুই দলের বিপক্ষে ভালো করাতেই বলার মতো এগিয়েছে বাংলাদেশ।
ছয় বছরের মধ্যে নারী ফুটবলে বাংলাদেশের এটাই সর্বোচ্চ অবস্থান। ২০১৯ সালের মার্চে ১২৭ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ ২০২২ সালে নেমে গিয়েছিল সর্বনিম্ন ১৪৭ নম্বরে। দেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং ১০০। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুবার ঠিক ১০০ নম্বরে উঠেছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিল নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল দল তাহলে কোন দেশের৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করা ইন্দোনেশিয়ার মেয়েরা এক ধাপ পিছিয়ে নেমেছে ৯৫ নম্বরে। জর্ডানও পিছিয়েছে এক ধাপ, নেমেছে ৭৫-এ।
নারী ফুটবলের র্যাঙ্কিংয়ে এক থেকে তিন নম্বর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি৷ এক থেকে তিনে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও জার্মানি। চার ধাপ এগিয়ে চারে উঠে এসেছে ব্রাজিল। আর আর্জেন্টিনার মেয়েরা ৩২ নম্বরে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।