বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাপড়ি বেগম (৬৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মারা যায় তিনি। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় মশাবাহিত এই রোগে তিনজনের মৃত্যু হলো।

মারা যাওয়া পাপড়ি বেগম বরগুনা শহরের কলেজ ব্রাঞ্চ এলাকার মো.

মোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী। তিনি গত ছয়দিন ধরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলেন।

এর আগে, বুধবার (১১ জুন) রাত ৮টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গোসাই দাস (৫৮) নামে এক ব্যক্তি ডেঙ্গুতে মারা যান। তিনি সদর উপজেলার থানা পাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এর আগে, একইদিন দুপুর ১২টার দিকে চান মিয়া (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

জাফলংয়ে নদীতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু

বরগুনায় ডেঙ্গুতে বৃদ্ধের মৃত্যু

বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‍“পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বয়স্ক রোগীদের প্রাণ হারানোর সংখ্যা বেশি। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়ায় মৃত্যুর হার বেশি।” 

বরগুনার সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল ফাত্তাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‍“গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছে। তাদের মধ্যে দুইজন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। পাপড়ি বেগম নামে এক নারী ঢাকায় নেওয়ার পথে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মারা গেছেন। নানামুখী সংকটের মধ্যেও জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৩১ জন শিশু।

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ