সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পরদিন ডোবায় মিলল মরদেহ
Published: 12th, June 2025 GMT
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর জাবের রাবিন (১১) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে স্থানীয় নগরকান্দি গ্রামের এছাক হাজী বাড়িসংলগ্ন ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাবিন ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ওমর ফারুকের ছেলে। সে চট্টগ্রামের বিএফ শাহীন কলেজের স্কুল শাখার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে রাবিন পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। বুধবার (১১ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে একটি ডোবায় একটি সাইকেল ও রাবিনের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করেন।
রাবিনের বাবা ওমর ফারুক বলেন, ‘‘আমার দুই যমজ ছেলের মধ্যে রাবিন বড়। সে সাঁতার জানত এবং এলাকায় পরিচিত ছিল। সুস্থ অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। আমাদের জমিজমা ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জেরে কেউ আমার ছেলেকে হত্যা করে থাকতে পারে।’’
ওমর ফারুক সন্তান হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামশুজ্জামান বলেন, “শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাইকেল চালাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ডোবায় পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।”
সাহাব//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, আশার আলো। শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তারা।
নেতারা বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে এপ্রিল থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
তারা বলেন, আজকের এই বৈঠক যেন শুধু কথার কথা না থাকে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, বাংলাদেশের, জনগণের।
বিবৃতিতে সই করেন- ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির চেয়ারম্যান ও জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বজাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) স-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।