ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ, নেই যানজট
Published: 12th, June 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহার আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি শেষে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন দেশের উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। কর্মস্থলে যাত্রা শুরু হওয়ায় যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে যানজট নেই।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে যমুনা সেতু পশ্চিম সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ, কড্ডার মোড়, নলকা, হাটিকুমরুল গোল-চত্ত্বর ও এম.
যাত্রীদের ভাষ্য, ঈদের ছুটি শেষ হতে এখনো দুইদিন বাকি। সড়কে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে বাড়তে শুরু করবে। যে কারণে ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগেই কর্মস্থলে ফিরছেন তারা।
আরো পড়ুন:
ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢল
এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকামুখী পরিবহনের চাপ বাড়ছে
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, যানবাহনের চাপ বাড়লেও যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে যানজট ছিল না। হাইওয়ে পুলিশ, টোল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। ঢাকামুখী মানুষের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, “ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আগামী রবিবার (১৫ জুন) থেকে সব অফিস খুলে যাবে। একারণে আগামী ৩ দিন উত্তরবঙ্গের মানুষের চাপ বাড়বে মহাসড়কে। শনিবার (১৪ জুন) যানবাহনের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, চাপ বাড়লেও যানজট হবে না।”
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, “ঈদের ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন। এজন্য ঈদ পরবর্তী যানবাহনের চাপ এখনো বাড়েনি। বুধবার (১১ জুন) যমুনা সেতু পূর্বমুখী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ২৮৬টি। টোল আদায় হয়েছে ৯৮ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫০ টাকা। অন্যদিকে, সেতু পশ্চিমমুখী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৭১২টি। টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫০ টাকা।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন হন র চ প য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট