আগামী ১৫ জুন বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় শুরু হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপের আসর। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় নতুন ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামি ও মিশরের ক্লাব আল আহলি মাঠে নামবে।

ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেবে ৩২ দল। সব ক্লাবই ঘোষণা করে দিয়েছে তাদের দল। ফিফা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ক্লাব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি অংশ নিচ্ছে ব্রাজিলের ফুটবলার। দেশটি থেকে সর্বাধিক ১৪২ জন ফুটবলার ফিফার এই টুর্নামেন্টে খেলবে।

ব্রাজিল থেকে বেশি ফুটবলার খেলার কারণ আছে। দেশটি থেকে অংশ নিচ্ছে চারটি দল পালমেইরাস, ফ্লুমিনেন্স, ফ্লামেঙ্গো ও বোটাফোগো। ক্লাবগুলোর অধিকাংশ ফুটবলার ব্রাজিলিয়ান। আবার স্পেন থেকে অংশ নেওয়া রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ডের ম্যানসিটি কিংবা ফ্রান্সের পিএসজিতে আছেন ব্রাজিলিয়ানরা।

দ্বিতীয় সর্বাধিক ১০৪ জন ফুটবলার খেলবেন আর্জেন্টিনা থেকে। দেশটি থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা পেয়েছে রিভার প্লেট ও বোকা জুনিয়র্স। তৃতীয় সর্বাধিক স্পেনের ৫৪ ও চতুর্থ সর্বাধিক পর্তুগালের ফুটবলার আছেন ৪৯ জন। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলার আছেন ৪২ জন, মেক্সিকান আছেন ৪০ জন। এছাড়া ফ্রান্স থেকে ৩৭, জার্মানি ও ইতালি থেকে ৩৬ এবং মরক্কো ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩১ জন করে ফুটবলার ক্লাব বিশ্বকাপ খেলবেন।  

ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ফুটবলারদের মধ্যে সর্বাধিক আন্তর্জাতিক গোল লিওনেল মেসির। তিনি ১১২ গোল করেছেন। তার পরে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন (৭৩) ও ইন্টার মায়ামির উরুগুয়ে স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ (৬৯)।

টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার ফ্লুমিনেন্সের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ফ্যাবিও। টুর্নামেন্ট শুরুর দিন তার বয়স হবে ৪৪ বছর ২৫৭ দিন। দুইয়ে আছেন ফ্লামেঙ্গোর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা (৪০)। সবচেয়ে কম বয়সী জাপানের ক্লাব ওরাওয়া রেড ডায়মন্ডের মিডফিল্ডার আকিশি ওয়াদা। গত সপ্তাহে ১৬ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ফ ক ল ব ব শ বক প ক ল ব ব শ বক প র ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী

আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।

রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’

বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ