কিট নেই, হিলি স্থলবন্দরে করোনা পরীক্ষা বন্ধ
Published: 13th, June 2025 GMT
নতুন করে ভারতজুড়ে বেড়েছে করোনার প্রাদুর্ভাব। দ্রুত ছড়িয়েও পড়ছে সংক্রমণ। যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে। তাই দিনাজপুরের হিলি বন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে আসা মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখানে কাজ করছে একটি মেডিকেল টিম।
তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালু থাকলেও করোনা পরীক্ষার কিট না থাকায় সেখানে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না। জেলা সিভিল সার্জন বলছে, কিট সংকট রয়েছে, তবে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি করোনার ওমিক্রন ভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এলএফ.
বিশেষ করে ভারতসহ আশপাশের কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সতর্কতা জারি করেছে। একইসঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেসকল বিদেশি যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে।
হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। এ টিমের সদস্যরা সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট ধারী যাত্রীদের হেল্থ স্ক্যানার মেশিন দ্বারা শরীরের জ্বর পরীক্ষা করছে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে বেশি কিংবা জ্বর শনাক্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে। তবে কিট সঙ্কটের কারণে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। জেলায় চাহিদা পাঠানো হয়েছে, কিট আসলেই আমরা করোনা পরীক্ষা শুরু করব। তবে আমরা জনগণকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করছি এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে মাস্ক বিতরণ করছি।”
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আসিফ ফেরদৌস বলেন, “দিনাজপুরে করোনা পরীক্ষার কিট নেই, সারাদেশেই কিটের সঙ্কট রয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছে, আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে কিট চলে আসবে। ইতিমধ্যে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার ১৩টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি করোনা পরীক্ষার কিট এলেই আমরা পরীক্ষা শুরু করব।”
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যেহেতু ভারত থেকে পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সেখানে একটি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হেল্থ স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হচ্ছে। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ রোধে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ জেলার বিভিন্ন জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র স ক রমণ
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়া স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা শুনেছেন ভারতের দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তিনি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
একাধিক সূত্র জানায়, রিয়াজ হামিদুল্লাহ বিকেলে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় যান। তিনি আখাউড়া স্থলবন্দর, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। ব্যবসায়ীরা এ সময় বন্দরের বিভিন্ন সমস্যার কথা তাকে অবহিত করেন। পরে হাই কমিশনার এ বন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় যান।
আরো পড়ুন:
আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে নরওয়েসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন দাবি
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রশংসা করলেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
বৈঠকে ভারতের আগরতলাস্থ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি এম রাশেদুল ইসলাম, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নেসার ভূঁইয়া, মাছ আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নেসার ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সমস্যার কথা উত্থাপন করেছি। বিশেষ করে সব ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার বিষয়ে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি (হাইকমিশনার) জানিয়েছেন।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ