স্কটল্যান্ডের ফোর্থহিলে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি বুলাওয়ের বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের সেই ম্যাচের কথা স্মরণ করাবে। একই গল্পে ভিন্ন ভাষার সিনেমার মতো। বুলাওয়ের সেই ম্যাচে বাংলাদেশের মতো ৪ উইকেটে জিতেছে নেদারল্যান্ডসও।     

সালটা ২০০৯। ওয়ানডে ফরম্যাট তখনও ডাবল সেঞ্চুরি দেখেনি। চশমা পরা জিম্বাবুয়ের ব্যাটার চার্লস কভেন্ট্রি যা করেই ফেলেছিলেন। ১৫৬ বলে ১৯৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ১৬ চারের সঙ্গে সাতটি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। তার দল তুলেছিল ৩১২ রান। জবাবে তামিম ইকবাল ১৫৪ রান করেছিলেন। সাত চার ও ছয় ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। বাংলাদেশ জিতেছিল এক বল থাকতে। 

এবার ফোর্থহিলে স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে তেমনই এক ম্যাচ দেখা গেল। ছোট দলের বড় লড়াই যাকে বলে। আইসিসি ২০২৭ বিশ্বকাপ লিগ পর্বের ম্যাচে স্কটল্যান্ড শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান তোলে। দলটির ওপেনার জর্জ মানশি ১৫০ বলে ১৯১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে ১৪টি চার ও ১১টি ছক্কা আসে। 

এছাড়া স্কটিশ অধিনায়ক ম্যাথু ক্রস ৫৯ রান যোগ করেন। ছোট ছোট রান করেন আরও চার ব্যাটার। ওপেনার কার্লি টিয়ার ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। তিনে নামা ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন ২১ রান করেন। নিয়াম নায়লর ১৪ ও মাইকেল লিয়াস্ক ২৮ রান যোগ করেন।

জবাব দিতে নেমে ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ওডাউড ১৩০ বলে ১৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ১২টি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা তোলেন তিনি। অন্য ওপেনার মাইকেল লেভিট ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। ওপেনিং জুটিতে ৬৭ রান পায় ডাচরা। এছাড়া স্কট এডওয়ার্ড ৩২ ও নোয়া ক্রয়েস ২৯ বলে ৫০ রান করে ৪ বল থাকতে দলকে জয় এনে দেন।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ