Prothomalo:
2025-06-14@06:32:58 GMT

ফাঁকি, শুধু ফাঁকি

Published: 13th, June 2025 GMT

বউয়ের জন্মদিন। জারবেরা তার পছন্দের ফুল। অফিস থেকে ফেরার সময় দোকান থেকে একগোছা নীল জারবেরা ফুল নিয়ে বাসায় এলাম। অতি সুন্দর দেখতে। দরজা খুলেছে বউ। আমার হাতে নীল জারবেরা ফুল। শুধু হাঁটু মুড়ে বসা বাকি, প্রথম দিনের প্রপোজ করার ভঙ্গিতে খানিক লাজুক, খানিক হাসি হাসি মুখে বউয়ের হাতে ফুলগুলো দিয়ে বললাম, ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ!’

জানতাম, বউ অত্যধিক খুশি হবে। শুধু জানতাম না, প্রচণ্ড খুশি হয়ে সেই অতি আনন্দের মুহূর্তে সে কী করতে পারে!

মুখ শুকনা করে বউ বলল, ‘তুমি দেখি বিরাট বোকা। আগেও বোকা ছিলে, এখনো বোকা আছ!’

থতমত খেয়ে গেলাম। পয়সা খরচ করেছি বলে সে কপট রাগ দেখিয়ে আমাকে বোকা বলছে। এটা ভালো লক্ষণ। তবে তার মুখে লজ্জার ভাব থাকার কথা। তার মুখ হয়ে আছে কড়া রোদ্দুরে শুকানো পাকা বরইয়ের মতো এবড়োখেবড়ো।

মুখে লাজুক হাসি ধরে রেখে বিনয়ী গলায় বললাম, ‘দাম একটু বেশি নিয়েছে, তবে দেখো, নীল জারবেরা! এমন কোথাও পাবে না। এটা খুব রেয়ার বলে দাম বেশি।’

বউ কঠিন গলায় বলল, ‘ওগুলো নকল। রং করা।’

বলে কী! নীল জারবেরা নিয়ে গিয়ে বেসিনের কল খুলে দিলাম। অবিশ্বাস্য ঘটনা। সাদা বেসিন হয়ে গেল নীল। আর নীল জারবেরা রং বদলে হয়ে গেল সাদা। সেই নকল রঙের ফুলে ভালোবাসা ছিল যথেষ্ট, তবে আমার বিভ্রান্তি ছিল তার চেয়ে বেশি। দোকানদার ভেবেছেন, রং বদলে ফুল বিক্রি হয়, সবাই জানে। ক্রেতারা তা জেনেই ইচ্ছা করে ভিন্ন রঙের ফুল কেনে। তাই সে আমাকে বলেনি যে জারবেরা নীল রং করা। কিংবা সে দেখেছে, লোকটি বিশাল বোকা। আমাকে ঠকিয়ে নির্মম আনন্দ পেয়েছে।

শিশুবেলার ঘটনা বলি। আমার মন খারাপ। শুধু খারাপ নয়, খুব বেশি খারাপ। মনমরা হয়ে অডিটরিয়ামের এক পাশে বসে আছি। ইশকুলের বার্ষিক নাটক। আমি অভিনয় করব ডাকপিয়নের চরিত্রে। মঞ্চে শুধু একবার প্রবেশের সুযোগ পাব। চিঠি দিয়ে চলে আসতে হবে। পঁয়তাল্লিশ মিনিটের নাটকে ওই একবার ঢুকলেই আমার অভিনয় শেষ। একটিমাত্র সংলাপ, ‘চিঠি আছে।’ তারপর সরকারি ডাক বিভাগের হলুদ খাম এগিয়ে দেওয়া।

তাতে আমার মন খারাপ নয়। নাটক করাটাই আসল। নাটকের চরিত্র ছোট হলো কি বড় হলো, তা নিয়ে ভাবতে নেই। আমার মন খারাপ অন্য কারণে। লতিফ ভাই পড়ে ক্লাস এইটে। আমি ক্লাস সেভেনে। লতিফ ভাই অভিনয় করবে মাস্টারের চরিত্রে। নাটকে সে ছাত্রের বাড়িতে যাবে। বাড়ির চাকর তাকে চা-নাশতা খেতে দেবে।

আমাদের ক্লাসের সেকেন্ড ক্যাপ্টেন মজিদের হাতে লিস্ট দেখেছি। তাতে লেখা—জিলাপি, লাড্ডু, শিঙাড়া, বিস্কুট আর চা। মজিদকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কিসের
লিস্ট রে?’

মজিদ বলল, ‘নাটকে মাস্টার যখন ছাত্রের বাড়িতে যাবে, তখন তাকে যে নাশতা দেওয়া হবে, তার লিস্ট।’

আমি দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি কাপভর্তি চা, গরম-গরম জিলাপি, শিঙাড়া, লাড্ডু, বিস্কুট। তার পর থেকে আমার মন খারাপ। আমি পিয়নের চরিত্রে অভিনয় করব না। মাস্টারের চরিত্রে অভিনয় করব। কাউকে কিছু বলতে পারছি না। বললেও কেউ রাজি হবে না। পাঁচ দিন পর নাটক।

পয়সা না চাইতেই মণিমাণিক্য পাওয়া টাইপের ঘটনা ঘটে গেল। লতিফ ভাই অসুস্থ হয়ে পড়ল। স্ট্রং ডায়রিয়া। তার উঠে দাঁড়ানোর শক্তি নেই। সে নাটক করতে পারবে না।

স্যার আমাকে ডেকে বললেন, ‘তুই একসঙ্গে দুটো চরিত্র করবি। পিয়ন আর মাস্টার। পারবি তো?’

খুশিতে আমার চোখমুখ পাকা জগডুমুরের মতো ডগমগে হয়ে গেল। বললাম, ‘খুব পারব স্যার। মাস্টারের সংলাপ আমার মুখস্থ।’

সেদিন রিহার্সাল শেষ করে ইশকুল মাঠে তিনটা ডিগবাজি দিলাম আনন্দে।

নাটক শুরু হয়েছে। পিয়নের চিঠি দিয়ে আসা হয়ে গেছে। আমার মুখে দাঁড়ি লাগানো হলো। আমি এখন নাটকের মাস্টার।

ছাত্রের বাড়িতে গেলাম। বাড়ির কাজের মানুষ চা-নাশতা নিয়ে এল। ওমা, এ কী! পিরিচের ওপর গোল-গোল খাঁজকাটা দুটো তেলে ভাজা নোনতা বিস্কুট। চায়ের কাপ তুলে দেখি তার ভেতর তেলাপোকার নাদি আর ময়লা।

আমার মেজাজ খারাপ হতে শুরু করেছে। মেজাজ খারাপ করতে পারছি না। দর্শকের আসনে স্যাররা বসে আছেন। ইশকুলের অন্যরা আছে। সেই অবস্থায় আমাকে চোখমুখে আনন্দের ভাব ফুটিয়ে তুলতে হলো। পরম তৃপ্তিতে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে গেলাম। কাপে কোনো চা নেই। আমি ঠোঁট দিয়ে চায়ের কাপ থেকে বাতাস টেনে নিচ্ছি। বাতাসের সঙ্গে তেলাপোকার নাদির গন্ধ এসে নাকে ঢুকছে। সেখানে সংলাপ ছিল, ‘বাহ, চা তো বেশ ভালো হয়েছে!’ আমাকে গুছিয়ে সুন্দর করে সেই সংলাপ বলতে হলো।

নাটক শেষ হলে মজিদকে ঠেসে ধরলাম, ‘ঘটনা কী! গরম-গরম জিলাপি, শিঙাড়া, লাড্ডু সব গেল কোথায়?’

মজিদ হলুদ দুপাটি দাঁত বের করে ফেলল। হেসে বলল, ‘সে তো স্যারদের জন্য। আজকের অনুষ্ঠানে স্যারদের জন্য আনা নাশতার লিস্ট দেখিয়েছিলাম তোকে। গাধা! নাটকের মাস্টারের নাশতা বলে ঢপ দিয়েছি।’

মাঝেমধ্যে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে যাই। সেখানে বাবা বা বয়স্ক কোনো মানুষের চরিত্রে অভিনয় করি। ক্যামেরা রোল হচ্ছে। শুটিং শুরু হয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। আমি প্রধান অতিথি। মঞ্চে বসে আছি। সফল একজন তরুণী পোডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে। তাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছি। বাংলার শ্বাশত নারী। পরনে ডোরা সুতি শাড়ি। কোমর ছাপিয়ে যাওয়া দীর্ঘ ঘন চুল। কী অপূর্ব সুন্দর চোখ দুটো! কথাও বলে দুর্দান্ত।

শুনেছি, সে বিশেষ ক্যাটাগরির মডেল। তার তাড়া আছে। সে চলে যাবে। তার অংশের শুটিং শেষ হয়েছে। তখনো মুগ্ধ হয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছি। সে তখন হাতের দুই আঙুল দিয়ে নিজ চোখের পাপড়ি চেপে ধরেছে। ঘটনা কী ঘটছে, বুঝতে পারছি না। মেয়ে চোখের পাপড়ি ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়েছে। অমনি আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে এল। ভয়াবহ কিছু ঘটতে যাচ্ছে। ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছি। ধারণা করেছিলাম, ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠার আর্তচিৎকার শুনব। কিন্তু কোনো চিৎকার হলো না। চোখ মেলে তাকালাম। দেখি, মেয়ের দুই চোখের দিঘল পাপড়ি ছোট হয়ে গেছে। ঢেউ খেলানো ঘন কালো চোখের দিঘল পাপড়ি জোড়া তার হাতে। আমার সামনে সে টুস করে নাকের সামনের খাড়া অংশটুকু টেনে খুলে ফেলল। তারপর মেকআপ রুমে ঢুকে গেল। মেকআপ রুম থেকে যখন বের হয়েছে, তখন তাকে দেখে পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে গেছি। দেখে মনে হচ্ছে, অল্প বয়সের হালকাপাতলা একটা মেয়ে। পরনে ফেড জিনসের থ্রি–কোয়ার্টার প্যান্ট আর সাদা টি–শার্ট। মাথায় টাট্টুঘোড়ার লেজের মতো চুল। সময় পেলে হয়তো পনিটেইল করে বেঁধে নিত।

টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের কথা যখন এলই, তখন একটা টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের সময়ের অফ ভয়েসের ঘটনা বলি।

একটি পণ্যের বিজ্ঞাপনের শুটিং হচ্ছে। কীভাবে যেন অ্যাসিস্ট্যান্ট নির্দেশক চলচ্চিত্রের এক নায়িকাকে ম্যানেজ করে ফেলেছে। এলেবেলে কোনো নায়িকা নয়। ঢালিউডের শাকিব খান, কলকাতার নায়ক দেবের সঙ্গে অভিনয় করা তুখোড় নায়িকা। তাকে পাওয়ার পর আচমকা পাণ্ডুলিপি বদলে গেল। ঘটনা হয়ে গেল নায়িকা ফোকাসড।

শেষ দৃশ্য। নায়িকার বাবা পণ্যের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। নায়িকা হয়েছে কন্যা। কন্যার দিকে মধুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন গর্বিত বাবা। তিনি কন্যার জন্য পণ্যটি কিনে এনেছেন। কন্যা আলতো করে আদরমাখা হাতে পণ্য ছুঁয়ে বাবার কাছে এসেছে। বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘থ্যাংক ইউ, বাবা।’

তারপর ভয়েস ওভারে পণ্যের গুণগান চলবে। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ধীরে ধীরে আউট অব ফোকাসে চলে যাবে।

অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মুখ হাসি-হাসি। ক্যামেরা চলছে। কন্যা বাবাকে জড়িয়ে ধরে ‘থ্যাংক ইউ, বাবা’ বলেছে। এখান থেকে শুরু হবে ভয়েস ওভার। পণ্যের গুণগান। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তখন অফ ভয়েসে কথা বলছেন। কন্যাকে জড়িয়ে ধরে বাবা বললেন, ‘পণ্য পছন্দ হয়েছে, মা?’

কন্যা চোখমুখ ঝলমল করে বলল, ‘খুউউউব।’

মুখে হাসি ঝুলিয়ে রেখে বাবা বললেন, ‘কিন্তু এই পণ্য আমরা কোনো দিন কিনব না, তাই না, মা?’

‘একদম ঠিক কথা, বাবা। আমরা গরিব হতে পারি কিন্তু, খ্যাত নই।’

অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুমুল হাসির ভেতর নির্দেশক বললেন, ‘পেয়ে গেছি, ওকে শট।’

ইশকুলে দরখাস্ত লেখা মুখস্থ করতে হতো। বিনা বেতনে আর আধা বেতনে পড়ার আবেদন। বাংলা আর ইংরেজিতে। সেখানে লেখা থাকত, ‘আমার বাবা অতি দরিদ্র হেতু আমার লেখাপড়া চালানোর মতো আর্থিক অবস্থা তাঁর নেই.

.. ইত্যাদি’।

পড়তে বসে মাকে বললাম, ‘মা, আমার বাবা তো আর্থিকভাবে দরিদ্র নন। তিনি আমাদের ইশকুলের বেতন দিতে পারেন। তাহলে এই ভুল কথা কেন লিখব?’

মা বললেন, ‘বইতে যা আছে মুখস্থ করে যা।’

বইতে যা আছে মুখস্থ করে যেতাম। আমার বাবা একজন দরিদ্র রিকশাচালক। আর্থিক অনটনে আমাদের দিন চলে। যদিও আমার বাবা দরিদ্র রিকশাচালক ছিলেন না। তবু আমাকে সেই মিথ্যা কথা মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখে পূর্ণ নম্বর পেতে হয়েছে। 

বিপত্তি বাধল চাকরি করতে এসে। চাকরির প্রথম দিন বলা হলো, ‘জয়েনিং লেটার দেন।’

জয়েনিং লেটার তো মুখস্থ করিনি। বইতে ছিল না। জয়েনিং লেটার লিখতে পারলাম না। ছুটে চলে গেলাম বড় ভাইয়ের কাছে। দেড় বছর হলো, তিনি চাকরিতে জয়েন করেছেন। নিশ্চয়ই জয়েনিং লেটার লিখতে পারেন। সময়মতো কিছু পাওয়া যায় না। ভাইয়ের অফিসে যেতে হবে বাসে চড়ে। বাস পাওয়া গেল না। যে বাস এল, তাতে উঠতে পারলাম না। সময় কমে আসছে। প্রথম দিনের অফিস। দৌড়াতে দৌড়াতে বড় ভাইয়ের অফিসে গেছি। সারা রাস্তা দোয়াদরুদ পড়তে পড়তে গেছি যেন অফিসে গিয়ে ভাইকে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত উত্তেজনায় দোয়াদরুদ পড়া সহজ হয় না। এক দোয়ার ভেতর আরেক দোয়া ঢুকে পড়ে। বিপদে পড়লে পড়ার মতো তিনটে দোয়া আমার মুখস্থ। তিনটা দোয়া খিচুড়ি পাকিয়ে একটা দোয়া হয়ে যাচ্ছে। দোয়া ভুল হলে ভাইকে অফিসে পাওয়ার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। মন শান্ত করার চেষ্টা করলাম। দৌড়ের ওপর মন শান্ত হলো না।

ভাইকে অফিসে পাওয়া গেছে। বললাম, ‘ভাই, আজ চাকরিতে জয়েন করছি। একখানা জয়েনিং লেটার লিখে দেন।’

ভাই অতিশয় মহান ব্যক্তি। ফাইল থেকে তার নিজের জয়েনিং লেটার বের করে কপি করে দিলেন। বললেন, ‘এখানে তোর নাম, সংস্থার নাম, পদবি, তারিখ বদলে লিখে দে।’

অফিসে এসে তা–ই করলাম। তারপর যখন আমি অফিসের বস হয়ে গেলাম, তখন জয়েনিং লেটারের ফরম্যাট বানিয়ে ফেললাম। ফরম্যাটে সব লেখা থাকে। শুধু তারিখ, নাম, পজিশন, প্রজেক্টের নাম আর কর্ম এলাকা লিখে স্বাক্ষর দিলেই হয়ে যায়।

কথায় বলে, মহিষ চুরি করতে তিনজন লাগে। একজন মহিষের গলার ঘণ্টা খুলে বাজাতে বাজাতে গ্রামের উত্তর দিকে রওনা দেয়। আরেকজন মহিষ নিয়ে গ্রামের দক্ষিণ দিকে হাঁটতে থাকে। আর তৃতীয়জন ভালো মানুষ সেজে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে মিশে যায়।

ভালো মানুষ সাজা চোর গ্রামের মানুষদের পরামর্শ দেয় যে ঘণ্টার শব্দ যেদিক থেকে আসছে, মহিষ সেদিকেই গেছে। বাজনাপ্রিয় গ্রামবাসী ঘণ্টার শব্দের দিকে হাঁটতে থাকে। মহিষের গলা থেকে ঘণ্টা খুলে নিয়ে যাওয়া প্রথম চোর নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে ঘণ্টা ফেলে দিয়ে অন্ধকারে মিশে যায়।

গ্রামবাসী ঘণ্টা খুঁজে পেয়ে তা নিয়ে মশগুল থাকে। দ্বিতীয় চোর মহিষ নিয়ে নিরাপদে চলে যায়। আর ভদ্র মানুষরূপী তৃতীয় চোরকে কিছুক্ষণ পর আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

দেশের যেকোনো সমস্যায় আমাদের নেটিজেনরা ফেসবুকে ঘণ্টা বাজিয়ে একদিকে যেতে যেতে হঠাৎ মিলিয়ে যায়। আর অতি উৎসাহী কিছু মানুষের পরামর্শে দেশবাসী ঘণ্টার শব্দের দিকে হাঁটতে থাকে। এদিকে ঘটনার মূল নায়ক ঘটনা ঘটিয়ে নিরাপদে প্রস্থান করে।

সব ফাঁকি বিলীন হয়ে, সত্য প্রতিষ্ঠিত হোক আমাদের জীবনে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন ল জ রব র র চর ত র আম র ব ব আম দ র আম র ম দর দ র আনন দ বলল ম প রথম বলল ন ত রপর

এছাড়াও পড়ুন:

পজিটিভিটি ও নেগেটিভিটি ছাড়া ‘ব্যাচেলর ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নিয়ে পজিটিভ-নেগেটিভ ব্যাপারগুলো থাকবে, আমি এটা উপভোগ করি

ছবি : পরিচালকের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ