ইরানের ভেতরেই নিজেদের গোপন ড্রোন ঘাঁটি তৈরি করেছিল ইসরায়েল
Published: 13th, June 2025 GMT
ইরানের ভেতরে সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করে তেহরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার ইরানের অভ্যন্তরে হামলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোররাতের অভিযানের জন্য মোসাদ ইরানের ভেতরে একটি গোপন বিস্ফোরক ড্রোন ঘাঁটি তৈরি করেছিল। তেহরানের কাছে একটি ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপকগুলোতে হামলা চালানোর জন্য ড্রোনগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল। রাতে হামলা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইরানকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে বাধা দিয়েছিল এই ড্রোনগুলো।
এর বাইরে অস্ত্র ব্যবস্থা বহনকারী যানবাহন গোপন পথে ইরানে প্রবেশ করিয়েছিল ইসরায়েল। এই ব্যবস্থাগুলো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়। এর ফলে ইসরায়েলি বিমানগুলো অবাধে ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।
তৃতীয় গোপন প্রচেষ্টায় মোসাদ কমান্ডোরা মধ্য ইরানে বিমান বিধ্বংসী স্থানগুলোর কাছে নির্ভুলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরে হামলা চালায় ইসরায়েল। এছাড়া ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়ও হামলা হয়েছে। এই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, বিপ্লবী বাহিনীর প্রধান এবং দুজন পরামণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম