রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে নিজ দলের কর্মীকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবারের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি পৌর বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বলে দাবি করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মজিবর রহমানের নেতৃত্বে মোশারফ হোসেন বেপারি, শিখর মোল্লা, রাজীব মোল্লা, আকবর, রানাসহ কয়েকজন এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছে। সম্প্রতি এ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকায় নজরুলের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন মজিবর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের চর মাইটকোড়া গ্রামে একটি গানের অনুষ্ঠানে মজিবরের নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মজিবর বলেন, সেদিন অন্য এক নেতার সঙ্গে নজরুলের হাতাহাতি হয়েছিল। আমি না ঠেকানোয় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার
চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির দুই নেতাকে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁদাবাজি, দখলদারি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নান লস্কর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। এর মধ্যে মতলব উত্তরের আবদুল মান্নান লস্করকে চাঁদাবাজির মামলায় গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবদুল মান্নান লস্কর ও আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইমাম হোসেন গাজীকেও দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদের (মানিক) মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই দুই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জেনেছেন। তবে এ ব্যাপারে চিঠি এখনো পাননি। যেকোনো বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটি অন্যান্য নেতার জন্যও একটি বার্তা ও শিক্ষা।