ইসরায়েলের হামলায় ইরানে ৭৮ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী তেহরানের একাধিক স্থানে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা। এতে দেশটির সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও পারমাণবিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়।  

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের দূত আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।  

এর প্রতিক্রিয়ায় শনিবার প্রথম প্রহরে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে অন্তত ৪৪ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। ইরানের হামলায় ইসরায়েলের নয়টি স্থানে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

ইরানের হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ৪৪ জন আহত

ইরানের হামলার পর ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

ইরানের হামলা শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল আবারো দেশটিতে হামলার চেষ্টা করে। পাল্টা হামলা চালিয়ে ইসরায়েলকে জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইরান। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সর্বশেষ ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম ও তেল আবিবে বিস্ফোরণে খবর পাওয়া গেছে। তবে এই বিস্ফোরণ সরাসরি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের নাকি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসাবশেষ থেকে এসেছে তা স্পষ্ট নয়।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ