শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণার করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শাহজাহান চৌধুরীকে। নগর জামায়াতের আমিরের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মো. নজরুল ইসলামকে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ও স্থানীয় পর্যায়ে স্পষ্ট বিভক্তির চিত্র ফুটে উঠেছে।

শুক্রবার সকালে সাতকানিয়ার কেরানীহাটের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত ‘দায়িত্বশীল সমাবেশে’ শাহজাহান চৌধুরীকে প্রার্থিতার ঘোষণা দেন দলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। একইদিন বিকেলে নগরীর দেওয়ানবাজারে মহানগর জামায়াতের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘দায়িত্বশীল সমাবেশে’ শাহজাহান চৌধুরীকে সরিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মো.

নজরুল ইসলামকে। তিনি এতদিন নায়েবে আমিরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মিয়া গোলাম পরওয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। অবশ্য দলটির নেতাকর্মিরা এই সিদ্ধান্তকে ‘সমঝোতার ফল’ হিসেবে দেখছেন।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীতে আয়োজিত ‘জরুরি দায়িত্বশীল বৈঠকে’ মহানগরের আমির পদে পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাতকানিয়া শাহজাহান  চৌধুরীকে দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারষর তাকে এখন থেকে সাতকানিয়ায় বেশি সময় দিতে হবে। এসব  তার বদলে নায়েব আমির নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আমির করা হয়েছে।’ 

চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে ইসলামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। তবে চট্টগ্রাম-১৫ আসনটিকে সে সময় ফাঁকা রাখা হয়, যদিও শাহজাহান চৌধুরী শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন যে এই আসনে তিনিই চূড়ান্ত প্রার্থী। এ নিয়ে দলটির মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার তাকে আসনটি থেকে দলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হলো।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম শ হজ হ ন চ ধ র নগর জ ম য় ত র আম র র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন মেনে নিতে পারি না: গোলাম পরওয়ার

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, ‘সরকারের ভূমিকায় এখনো জনগণ সংশয়ের মধ্যে আছে। এ জন্যই বলছি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন আমরা মেনে নিতে পারি না।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। এখানেই ১৯ জুলাই জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানো নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা কখনো কোনো বক্তব্য দেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন পেছানো, না করা, এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য কখনো রাখিনি। আমাদের আমির সাহেব বলেছেন, নির্বাচন আমরা চাই। কিন্তু সেই নির্বাচন যেন যেনতেন নির্বাচন না হয়। এই যেনতেনর অর্থ হলো—কোনো দিকে প্রশাসন ঝুঁকে পড়বে, নিরপেক্ষ হবে না, আবার ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং হবে, আবার প্রশাসন জবরদস্তি করবে, কেন্দ্র দখল হবে। এ–জাতীয় নির্বাচনকে উদ্দেশ করে আমির বলেছেন, নির্বাচন আমরা হতে দেব। কিন্তু যেনতেন নির্বাচন হতে দেব না। আর যাঁরা করবেন, আমরা তাঁদেরও মেনে নেব না।’

আসন্ন জাতীয় সমাবেশে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, নিরপেক্ষ নির্বাচন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, (মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের) বিচার, সংস্কারসহ সাত দফা দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবি এই জনসভা থেকে তোলা হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবিসহ বেশ কিছু দাবিও উত্থাপন করা হবে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, মোয়াযযম হোসেন হেলাল, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন মেনে নিতে পারি না: গোলাম পরওয়ার