তরুণ অভিনেত্রী নাজনীন নাহার নিহা। অভিনয় ক্যারিয়ার বেশিদিনের নয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে একের পর এক নাটকে অভিনয় করে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

গেল ঈদে তাঁর অভিনীত নাটক ‘আশিকি’ ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে জায়গা করে নেয় শীর্ষে। সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি মুক্তি পায় ৮ জুন রাতে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেশে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে নাটকটি জায়গা করে নেয় শীর্ষে।

এখন পর্যন্ত নাটকটি দেখা হয়েছে ১ কোটি বারেরও বেশি। নাটকে নিহার সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান।

ইমরোশ শাওনের পরিচালনায় ‘আশিকি’ নাটকের পাশাপাশি নিলয়-হিমি অভিনীত ‘কোটি টাকার চেয়ারম্যান’ এবং ইয়াশ-মালাইকা চৌধুরী অভিনীত ‘ক্ষতিপূরণ’ নাটক দুটিও রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ে। এই তিনটি আলোচিত নাটকের পাশাপাশি এবার ট্রেন্ডিংয়ে উঠে এসেছে নিহা অভিনীত আরও একটি নাটক।

নাটকটির নাম ‘ঘ্রাণ’। ‘ধূপছায়া’ এন্টারটেনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি মুক্তি পায় ১০ জুন। মুক্তির দুই দিনে এটি তিন মিলিয়নের মতো ভিউ স্পর্শ করে! ঈদের নাটকের মধ্যে এটির অবস্থান চারে হলেও দেশে সার্বিক ইউটিউব কনটেন্টের বিচারে ট্রেন্ডিংয়ে নাটকটির অবস্থান এখন ৮ নম্বরে!

মাশরিকুল আলম পরিচালিত ‘ঘ্রাণ’-নিহার সহশিল্পী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। সব মিলিয়ে নিহার বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে।

নিজের নাটকে দর্শকসাড়া নিয়ে নিহা বলেন, “ঈদে আমার অভিনীত ‘আশিকি’ ও ‘ঘ্রাণ’ অনেক দর্শক দেখেন, ভালো লেগেছে। এত কম কাজ করি, তার পরও দর্শক আমার নাটক দেখেন; এটি আমার জন্য আশীর্বাদ। দর্শকদের ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ তারা আমার নাটকগুলো দেখেছেন।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ঈদুল ফিতরে প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘লাভ সেমিস্টার’ দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে নিহার।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন জন ন ন হ র ন হ র ন টক ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ