জাফলংয়ে উপদেষ্টাদের গাড়িবহরে বাধা সৃষ্টির প্রতিবাদে বাপার নিন্দা
Published: 14th, June 2025 GMT
সিলেটের জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহরে বাধা সৃষ্টির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সংগঠনটি এ ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
শনিবার দুপুরে জাফলংয়ের প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা শেষে ফেরার পথে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে একদল মানুষ পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে উপদেষ্টাদের গাড়ি বহরের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন, যুবদল নেতা সুমন আহমদ ও শ্রমিক দলের দেলওয়ার হোসেনকে দেখা যায়। এছাড়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদসহ আরও কয়েকজন নেতাকর্মীকে সেখানে দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মো.
বিবৃতিতে বলা হয়, উপদেষ্টারা জাফলংয়ে আর কোনো পাথর উত্তোলনের ইজারা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যা বাপা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। কিন্তু সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি দলকে অবরুদ্ধ করা এবং তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও ন্যক্কারজনক।
বাপার মতে, অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে রাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল বাধার মুখে পড়া শুধু উদ্বেগজনক নয়, বরং তা পরিবেশ সুরক্ষায় রাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে ক্ষুণ্ন করে। বাপা জাফলংসহ সিলেট অঞ্চলের সব পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকায় পাথর উত্তোলনের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং স্থানীয় জনগণের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ফল উপদ ষ ট পর ব শ জ ফল য়
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম