আসামে দাঙ্গা রুখতে দুর্বৃত্ত দেখামাত্র গুলির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Published: 14th, June 2025 GMT
ভারতের আসামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রুখতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নিরাপত্তা বাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যারা মন্দির অপবিত্র করেছে, তারা রেহাই পাবে না। দুষ্কৃতিদের দেখামাত্র যেন গুলি চালানো হয়।
হনুমান মন্দিরে গরুর মাংস ফেলাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চরম আকার নিয়েছে রাজ্যের ধুবরি এলাকায়। গতকাল শুক্রবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এর পর তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ধুবরি গিয়েছিলাম। নিরাপত্তাবাহিনীকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি– আমাদের মন্দির, নামঘর ও পবিত্র স্থানগুলোকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বনের। যারা ধুবরির হনুমান মন্দিরের গোমাংস ফেলেছে, তাদের কোনোভাবে রেহাই দেওয়া হবে না।’
মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যাদের লক্ষ্য আমাদের মন্দিরগুলো ধ্বংস করা। আমরা দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করেছি।’
এক্স হ্যান্ডেলে আরেক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘এবার ঈদে কিছু অসামাজিক লোকজন ধুবরির হনুমান মন্দিরে গোমাংস ফেলার মতো ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় অপরাধ করেছে। পরবর্তী ঈদে যদি প্রয়োজন পড়ে, আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মন্দির পাহারা দেব।’
গত ৮ জুন ধুবরিতে সাম্প্রদায়িক হিংসার সূত্রপাত হয়। শহরের এক মন্দিরে গোমাংস ছুড়ে ফেলার ঘটনায় রাস্তায় নামেন স্থানীয়রা। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ধুবরির ডেপুটি কমিশনার দিবাকর নাথ জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। অশান্তি রুখতে সংবেদনশীল এলাকায় শান্তিরক্ষা কমিটি করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।