Samakal:
2025-08-01@08:43:02 GMT

চার্জ সমস্যায় কী করবেন

Published: 14th, June 2025 GMT

চার্জ সমস্যায় কী করবেন

স্মার্টফোনে ব্যাটারি আর চার্জিং নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায়। অনেকে বলেন চার্জ হচ্ছে ধীরে, আবার কারও অভিযোগ ডিভাইসে বেশিক্ষণ চার্জ থাকছে না। যার পেছনে কাজ করে বহুবিধ কারণ। কয়েকটি পরামর্শ মেনে চললে আগের মতো চার্জের গতি ফিরে আসবে।
প্রথমেই মোবাইলে যদি কাভার থাকে, অর্থাৎ ফোন পুরোনো হলে চার্জের সময় তা খুলে রাখা শ্রেয়। গরমের সময় চার্জিংয়ের ফলে স্মার্টফোনে স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়তি তাপ ছড়ায়। কারণ ফোনে যদি কাভার থাকে, তাহলে ব্যাটারি হিট হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই কাভার সরিয়ে ফোন চার্জে রাখা নিরাপদ। যদি ওয়্যারলেস চার্জিং করার সুবিধা থাকে, তাহলে তা এড়িয়ে চলুন। কারণ, ওয়্যারলেস চার্জিং কিছুটা ইউটিউব, গেমিং আর সোশ্যাল মিডিয়া    স্মার্টফোনে এখন গেম খেলার প্রবণতা বহুগুণে বেড়ে গেছে। আবার ফোন চার্জিং অবস্থায় রেখেই অনেকে গেমে বিভোর হয়ে যান। ফলে ব্যাটারি ও প্রসেসরের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। তখন চার্জ হতে বাড়তি সময় লাগে। অন্যদিকে, ফোনের ব্যাটারির ভেতরের অংশে সক্ষমতার ক্ষয় হয়। ইউটিউব আর সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন থাকবেন, তখন গেমের মধ্যে না থাকাই শ্রেয়। এ কারণে চার্জিং গতি কমে যায়। অ্যাপ ছাড়া এখন সব কাজই প্রায় অচল। জরুরি অ্যাপ রেখে প্রয়োজন নেই বা এখন দরকার নেই– সেসব ফাইল মুছে ফেলা উচিত। কারণ, ব্যবহার না করলে ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাউনলোডকৃত অ্যাপ ব্যাটারি ও প্রসেসরকে ব্যস্ত করে। ব্যাটারির ক্ষমতা দ্রুত ফুরিয়ে যায়। বিপরীতে কমে যায় চার্জ সময়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ