অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও তাঁর বাগদত্তা সাবেক টিভি সাংবাদিক লরেন সানচেজ বিয়ে করতে যাচ্ছেন। বিয়ের তারিখসহ বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। তবে উৎসব আয়োজন ২৪ থেকে ২৬ জুনের মধ্যে হওয়ার কথা রয়েছে।

অবশ্য বেজোস ও সানচেজের বিয়ের আয়োজন নিয়ে ইতালির ভেনিসের স্থানীয় বাসিন্দারা বেশ ক্ষুব্ধ। তাঁদের আশঙ্কা, এ আয়োজনের কারণে অতিরিক্ত পর্যটনের চাপে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী এই শহর আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গত মার্চে ভেনিসের ধনকুবের মেয়র লুইজি ব্রুনিয়ারো নিশ্চিত করেন, এই জুটি ভেনিসেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এর পর থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন প্রতিবাদকারীরা। তাঁরা ‘নো স্পেস ফর বেজোস’(বেজোসের জন্য কোনো জায়গা নয়) স্লোগানে প্রচার জোরদার করেন।

ভেনিসের সান গিওর্গিও দ্বীপে অবস্থিত সান গিওর্গিও ব্যাসিলিকার বেল টাওয়ারে একটি বড় ব্যানার টাঙানো হয়, যেখানে লেখা ছিল ‘নো বেজোস’। সেখানে এই জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজক ফেদেরিকা টনিনেলো বলেছেন, বিয়ের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে ‘দ্য মিসেরিকর্ডিয়া’ নামের একটি সাবেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান। সেটি এখন ইভেন্ট ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ফেদেরিকা বলেন, ‘বেজোসকে মিসেরিকর্ডিয়ায় পৌঁছাতে দেওয়া হবে না। আমরা রাস্তায় শুয়ে থাকব, খালগুলোতে লাইফসেভার, ছোট নৌকা দিয়ে পথ বন্ধ করে দেব।’

আরেক প্রতিবাদকারী না হ্যাবি স্টেলা ফায়ে বলেন, ‘এক কোটি ডলারের একটি বিয়ে ভন্ডুল করে দেওয়ার সুযোগ আছে আমাদের সামনে। সবাই চলো সেটা করি।’

অবশ্য বেজোস-সানচেজের বিয়ের বিষয়ে খুব অল্প তথ্যই জানা গেছে। তবে গণমাধ্যমে অতিথিদের তালিকা, হোটেল বুকিং, কনের পোশাকসহ নানা বিষয়ের খবর ছড়িয়ে পড়েছে।

ভেনিসের বিরোধীদলীয় কাউন্সিলর জিওভান্নি আন্দ্রেয়া মার্তিনি দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘এই বিয়ে নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণহীন পর্যটনে এমনিতেই ভেনিসের অবস্থা খারাপ।’

মেয়র ব্রুনিয়ারো মার্কিন ধনকুবের বেজোসের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

মেয়র স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘মাত্র ২০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এত ছোট পরিসরে আয়োজনে শহরবাসীর কোনো সমস্যাই হবে না।’

তবে কাউন্সিলর মার্তিনি বলেন, ‘ব্রুনিয়ারোর দাবি মিথ্যা। এটা ভেনিসকে ডিজনিল্যান্ডে পরিণত করার চরম উদাহরণ। এই বিয়ে সাধারণ ভেনিসবাসীর কোনো উপকারে আসবে না, বরং কেবল ভোগান্তিই বাড়াবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত সামরিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ ‍জুন) বিকেলে চালানো এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার ডেপুটি হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন।

রবিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান, তেল আবিব ও হাইফাতে সরাসরি আঘাত

ইরানে আবারো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরো জানিয়েছে, তেহরানে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আইআরজিসির তৃতীয় ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরিও নিহত হয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির কমান্ডার হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত ছয় জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ইরান। 

রবিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। হতাহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন নারী এবং বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ