রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের ঘোনিয়াখোলা পাড়ার ফুলতলী এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরের দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম মো. আবদুল হাকিম (২৬)। তিনি রাইখালী ইউনিয়নের খস্তাকাটা ঘোনিয়াখোলা এলাকার মৃত মো. বাহার আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ১০–১২ জনের একদল অস্ত্রধারী ঘোনিয়াখোলা ফুলতলী গ্রামে গিয়ে আবদুল হাকিমকে লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। এতে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে দুর্বৃত্তরা হাকিমের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর স্থান ত্যাগ করে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীদের পরিচয় জানা যায়নি। কী কারণে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা–ও বলতে পারছেন না এলাকার লোকজন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এখনো হালিমের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুপুরের দিকে ফুলতলী গ্রামে আবদুল হাকিম নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। কী কারণে তাঁকের হত্যা করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

চন্দ্রঘোনা থানার ওসি (তদন্ত) মো.

ইমরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে। এখনো লাশ উদ্ধার করা সম্ভব যায়নি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ