ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিষ্পত্তি নিয়ে জি-৭ এর কোনো যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।

 হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত কমানোর আহ্বান জানিয়ে করা কোনও সম্ভাব্য জি-৭ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে ফিরে এসেছে। ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাজ চালিয়ে যাবেন। 

এর আগে মধ্যপ্রাচে চলমান এই।প্রাণঘাতী সংঘাত নিরসনে একটি খসড়া বিবৃতির সম্ভাবনা সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করে বার্তামাধ্যম সিবিএস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মহাকাশে অদ্ভুত গ্রহের সন্ধান

মহাকাশে অদ্ভুত গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘চা ১১০৭-৭৬২৬’ নামের গ্রহটি নক্ষত্রের মতো অস্বাভাবিক আচরণ করছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রহটি বৃহস্পতি গ্রহের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বড়। চ্যামেলিয়ন নক্ষত্রমণ্ডল থেকে প্রায় ৬২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে গ্রহটি।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রহটি কোনো নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে না। ফলে অনেকটা স্বাধীনভাবে মহাকাশে অবস্থান করছে গ্রহটি। শুধু তা–ই নয়, গ্রহটি তার চারপাশের মহাজাগতিক ডিস্ক থেকে প্রতি সেকেন্ডে ছয় শত কোটি টন গ্যাস শুষে নিচ্ছে। এমন আচরণ সাধারণত তরুণ নক্ষত্রের মধ্যে দেখা যায়।

গ্রহটির বিষয়ে ইতালির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানী ভিক্টর আলমেনড্রোস-আবাদ বলেন, মানুষ বিভিন্ন গ্রহকে আপাত শান্ত ও স্থিতিশীল জগৎ হিসেবে ভাবতে পারে। তবে নতুন এই আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা দেখছি মহাকাশে স্বাধীনভাবে ভাসমান গ্রহ বেশ বিস্ময়কর হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চিলির আতাকামা মরুভূমিতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির (ইএসও) ভিএলটির এক্স-শুটার স্পেকট্রোগ্রাফের মাধ্যমে গ্রহটির সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নক্ষত্রের মতোই শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র গ্রহটির আচরণকে প্রভাবিত করছে। নতুন গ্রহটির অদ্ভুত এ আচরণ মহাকাশের গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যকার পার্থক্য কমিয়ে ফেলেছে। এর ফলে গ্রহ ও নক্ষত্র গঠনের প্রক্রিয়া আগে যা ভাবা হয়েছিল, তা পরিবর্তন হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যান্ড্রুজের বিজ্ঞানী আলেক্স শোলজ জানান, অদ্ভুত গ্রহটি নক্ষত্রের মতো গঠিত সবচেয়ে কম ভরের বস্তু নাকি তাদের জন্মস্থান থেকে ছিটকে আসা বিশাল কোনো গ্রহ, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নতুন এই আবিষ্কার আসলে মহাকাশে নক্ষত্র ও গ্রহ গঠনের প্রক্রিয়া ও আচরণ সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ