১৫৯ রানে থাকতে মিলান রত্নায়েকের বলে এলবিডাব্লিউ হয়েছিলেন মুশফিক। তবে লঙ্কানদের আবেদনেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন ধনাঞ্জায়া ডি সিলভা। রিপ্লেতে দেখা যায়,  মুশফিক আম্পায়ার্স কলে রক্ষা পেয়েছেন। তার পরেই নামে বৃষ্টি। আপাতত বন্ধ রয়েছে খেলা। ১৩০.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪২৩ রান। মুশফিক ১৫৯ ও লিটন ৬১ রানে অপরাজিত।  জুটির সংগ্রহ ১১৪ রান।

১৫০ ছাড়ালেন মুশফিক, বাংলাদেশের চারশ

টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তমবারের মতো ১৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেললেন মুশফিকুর রহিম।  শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ নিয়ে তৃতীয়বার ১৫০ ছোঁয়া ইনিংস খেললেন তিনি। ওভারের শেষ বলে লিটন দাসের বাউন্ডারিতে দলের রান স্পর্শ করে চারশ। খানিক বাদে লিটনও তুলে নিলেন ফিফটি। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি। ১২২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪০৩। ১৫৪ রানে খেলছেন মুশফিক। লিটন ব‍্যাট করছেন ৫০ রানে।

এর আগে গল টেস্টের প্রথম দিন শুরুর ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া দলকে টেনে তোলেন এই দুই ব্যাটার। প্রথম দিন তাই পুরোপুরি শান্ত-মুশফিকের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। তাদের ২৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শান্ত ১৩৬ এবং মুশফিক ১০৫ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন।

দিনের শুরুতেই ১৪৮ রানে থামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৭৯ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ১৫ চার ও ১ ছক্কার সৌজন্যে। আসিথা ফার্নান্দোর বলে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এতে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তার ২৬৪ রানের জুটি। এরপর লাঞ্চ বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে টেনে নেন লিটন-মুশফিক জুটি। লাঞ্চ বিরতির আগে ২৭ ওভারে ৯১ রান যোগ করেছে সফরকারীরা। ২৭২ বলে ১৪১ রানে অপরাজিত মুশফিক। অন্য প্রান্তে ৫৭ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টন দ স উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় বছরে আরো দেড় লাখ রোহিঙ্গা এসেছে বাংলাদেশে: জাতিসংঘ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে প্রায় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর এটি সর্বোচ্চসংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা। নতুন আশ্রয়প্রার্থীদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

ইউএনএইচসিআর জানায়, গত জুন পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন ১ লাখ ২১ হাজার রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে অনেককে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি, যদিও তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করছেন।

কক্সবাজারের মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার জায়গায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের কারণে এটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পে পরিণত হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, নতুন করে আরো রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ায় বিদ্যমান সহায়তা ব্যবস্থার ওপর চরম চাপ পড়ছে।

খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আশ্রয়ের জন্য নতুন করে আগতরা অনেকাংশেই আগের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্ভরশীল। ইতিমধ্যে দাতাগোষ্ঠী তহবিল সংকটে পড়ায় গুরুত্বপূর্ণ সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া, দুই লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে।

এমন সংকটে রোহিঙ্গাদের মাঝে হতাশা, নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে জানিয়ে ইউএনএইচসিআর বলছে, রোহিঙ্গাদের অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে।

এ অবস্থায় রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে না আসা পর্যন্ত, রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা যেন বন্ধ না করা হয়, তার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা।

ঢাকা/হাসান/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ