এনসিসি গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজ পদ্ধতিতে সম্মত এবি পার্টি
Published: 18th, June 2025 GMT
জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ (এনসিসি) গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজ পদ্ধতির বিষয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি সম্মত। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে এ অবস্থান তুলে ধরেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংস্কার নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এনসিসি গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি–সংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অতীতে নির্বাহী বিভাগের নামে মূলত শেখ হাসিনার একক পছন্দেই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে ফ্যাসিবাদী আমলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিকে পর্যন্ত বলতে শোনা গেছে যে তিনি ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’। তিনি বলেন, দলান্ধ অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেওয়ার কারণে পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) প্রশ্নপত্র ব্যাপকহারে ফাঁস হয়েছে, যা নজিরবিহীন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রশ্ন হলো, আমরা কি আগের অবস্থা বহাল রাখব, নাকি সংস্কার করব? সহস্র প্রাণ ও রক্তসাগর পেরিয়ে যে গণ–অভ্যুত্থান হয়েছে, সেটাকে তাৎপর্যপূর্ণ করতে হলে অবশ্যই সংস্কার অপরিহার্য। সে কারণেই জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ গঠন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজ পদ্ধতিতে এবি পার্টি সম্মত।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল কলেজ পদ্ধতির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদটি সত্যিকার অর্থে ক্রিয়াশীল করার জন্য নির্বাচনপদ্ধতির পাশাপাশি এর কার্যক্রমের গুণগত পরিবর্তন আবশ্যক। তা না হলে একটি সুন্দর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি একজন প্রতীকী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে অকার্যকর ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।
আরও পড়ুনকিছু ভিন্নমতসহ এনসিসির পক্ষে জামায়াত-এনসিপি, বিপক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গঠন ও র ষ ট রপত এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে