রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পাশাপাশি একাডেমিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের দাবিতে ২০টি ক্যাটাগরিতে ১২৫টি প্রস্তাবনা পেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। রোববার সকাল সোয়া ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং দুপুরে ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তারা।

এসব প্রস্তাবনা অনুযায়ী আগামী তিন দিনের মধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করা না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, আবাসন ব্যবস্থা সংস্কার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংস্কার, চিকিৎসা কেন্দ্রের সংস্কার, ভর্তি-ফর্ম ফিলাপ পেমেন্ট সিস্টেম আধুনিকায়ন, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর ইত্যাদি। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। তিনি বলেন, আগামী ২৬ জুনের মধ্যে রাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ৩১ শে জুলাই এর মধ্যেই রাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। রাকসু বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জোরদার করতে হবে। সিসিটিভি নজরদারি, গোয়েন্দা তৎপরতা, পুলিশ টহল বৃদ্ধিসহ বহিরাগত প্রবেশ সীমিত করতে হবে।

ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এ সংক্রান্ত রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে। হল উন্নয়নের নামে ৫০ টাকার আবশ্যিক ফিসহ অযৌক্তিক সকল ফি বাতিল করতে হবে। নারী শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককেই ১ম বর্ষ থেকে আবাসিক সিট নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা চালু করতে হবে। রিডিং রুমের সিট সংখ্যা ও পরিসর বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রন্থাগারে প্রশাসক নয়, লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দিতে হবে। সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত লাইব্রেরী খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রকে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেলে রূপান্তরিত করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বিভাগে পাঁচ অথবা দশ বছর মেয়াদী একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠদানের ব্যাপারে শিক্ষকদের মনোযোগ, শ্রম, নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষার উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীর রোল নম্বরের ক্ষেত্রে কোডিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। রাবি অধ্যাদেশ ১৯৭৩-এর আলোকে সিন্ডিকেটে ৩ জনের প্যানেল নির্ধারণ করবে। তার মধ্যে থেকে আচার্য একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিবেন। এ প্রক্রিয়ায় উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। রেজিষ্ট্রার অফিসে কাজের দীর্ঘ সূত্রিতা, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সার্টিফিকেট-মার্কশিট শাখায় ভোগান্তি বিলোপ করতে হবে। চলমান শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা সংস্কার করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ ত করত

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ