খুলনায় এক দিনে দুটি স্থান থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নগরের হরিণটানা থানা এলাকার একটি কাশবনের ভেতরে একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ এবং ডুমুরিয়া উপজেলার একটি বিলে অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে, উভয় ঘটনাতেই হত্যার আলামত পাওয়া গেছে।

আজ রোববার দুপুরে নগরের হরিণটানা থানার ময়ূরী আবাসিক এলাকার একটি কাশবন থেকে ইজিবাইকচালক জাহিদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা হলেও পরিবার নিয়ে শহরে থাকতেন এবং ভাড়ায় ইজিবাইক চালাতেন। গত ১০ জুন রাতে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর তাঁর ছেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে কাশবন থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির পরনের কাপড় দেখে পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেন।

হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার বলেন, জাহিদুরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ কাশবনের ভেতর ফেলে রেখে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
একই দিন বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের বান্দা মধ্যপাড়ার একটি বিলের পাশে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ওই নারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

ডুমুরিয়া থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, নিহত নারীর বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। মাথার মাঝখানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। লাশে পচন ধরেনি, সম্ভবত গত রাতে হত্যা করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআইয়ের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র একট ক শবন

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ