নানা আয়োজনে কবি সুফিয়া কামালের ১১৫তম জন্মদিন উদ্‌যাপিত হয়েছে। কবির জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সাঁঝের মায়া ট্রাস্টের আঙিনায় ‘নারী মুক্তি মানেই মানব মুক্তি’ শীষর্ক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

রোববার বিকেলে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) উদ্যোগে এ আলোচনা সভা হয়। শুরুতে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি ও এমএসএফের প্রধান নির্বাহী সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এমএসএফের নির্বাহী পরিষদের ট্রেজারার সানাইয়া ফাহিম। এ সময় সুফিয়া কামালের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এ সময় কবি কন্যা সাঈদা কামাল বলেন, সুফিয়া কামাল ছিলেন একজন সংগঠক, নারী আন্দোলনের পুরোধা। তাঁর জীবনটি বিশাল একটি ক্ষেত্র ছিল, সবাইকে তিনি নিজ সন্তানের মতো জানতেন। একাধারে সংগ্রাম, প্রতিকুলতা, কাব্য চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নারী মুক্তির জন্য নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন খুশি কবির। কবির জীবনী নিয়ে মূল বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রকাশনা সম্পাদক সারাবান তহুরা। বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক, গবেষক ও রাজনীতি বিশ্লেষক মহিদুল হক।

কবিকে নিয়ে বিশেষভাবে স্মৃতিচারণ করেন ‘আমরাই পারি’র প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে আগত স্বজনেরা।

অনুষ্ঠানে কবির লেখা থেকে পাঠ করেন খিয়ামুর রহমান। আবৃত্তি করেন নাহিদ শামস। গান পরিবেশন করেন মাহবুবা সুলতানা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ

নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।

আরো পড়ুন:

ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু

মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক

কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।

এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ